Bihar Rape Case: বিহারের সমষ্টিপুরে, এক চিকিৎসক তাঁর দুই বন্ধুর সঙ্গে মিলে, এক নার্সকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ। আত্ম রক্ষা করার জন্য, ওই নার্স চিকিৎসকের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন বলে অভিযোগ। পুলিশ চিকিৎসক ও তাঁর দুই সহযোগীকে আটক করেছে। বর্তমানে আহত চিকিৎসক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল
আজ তকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে সমষ্টিপুরের আরবিএস হেলথ কেয়ার হাসপাতালে। যেখানে ডাঃ সঞ্জয় কুমার, তাঁর দুই বন্ধুর সঙ্গে প্রথমে মদ্যপান করেন, এরপর একটা সমত তিনি সেখানে কর্মরত একজন নার্সের উপর হামলা করেন। এমন সময় নার্স আত্মরক্ষার্থে অস্ত্রোপচারের ব্লেড দিয়েই চিকিৎসকের গোপনাঙ্গ কেটে দেন। এরপর সেখান থেকে পালিয়ে যান নার্স।
ডাক্তারের দুই বন্ধুই ওই নার্সের উপর অত্যাচার করেছিল বলেও অভিযোগ। এসময় নার্স ১১২ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ওই চিকিৎসককে আটক করে। অন্য দুই আসামিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। পুলিশ জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা কাপড়ও উদ্ধার করা হয়েছে। আরও তদন্ত করছে পুলিশ।
সদরের ডিএসপি সঞ্জয় কুমার পান্ডে জানিয়েছেন, নির্যাতিতা গভীর রাতে ১১২ নম্বরে ফোন করেছিলেন। অধিকর্তার দাবি,
‘ভুক্তভোগী নার্স গত 10 থেকে 15 মাস ধরে আরবিএস হাসপাতালে কাজ করছিলেন। গতকাল রাতে তিনি ফোন করে বিষয়টি জানান। ঘটনাস্থল থেকে মদও উদ্ধার করা হয়েছে, যার জন্য আলাদা এফআইআর নথিভুক্ত করা হচ্ছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে বিছানার চাদর ও তিনটি মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ঘটনা ঘটার আগে সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ ছিল। অভিযুক্ত ডাঃ সঞ্জয় কুমার বেগুসরাইয়ের বাসিন্দা। তাঁর দুই অভিযুক্ত বন্ধু সুনীল কুমার গুপ্ত বৈশালীর বাসিন্দা এবং অবধেশ কুমার সমস্তিপুরের বাসিন্দা।’ প্রসঙ্গত, বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে থাকা ওই চিকিৎসক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্তে ব্যস্ত।
