Bharat Bandh: সংরক্ষণ নিয়ে যুগান্তকারী নিদান! সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে SC ST দের ভারত বনধ

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

Bharat Bandh: 21 অগস্ট 2024 অর্থাৎ আজ ‘ভারত বন্ধ'(Bharat Bandh)। সারা দেশে হরতাল ডাকা হয়েছে। এটি একটি দেশব্যাপী ধর্মঘট, যেখানে SC/ST রিজার্ভেশনের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করা হবে। রিজার্ভেশন বাঁচাও সংগ্রাম সমিতি এবং রাজস্থানের এসসি/এসটি গোষ্ঠী এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছে। জানা গিয়েছে, বন্ধ সত্ত্বেও সরকারি অফিস, ব্যাঙ্ক, স্কুল, কলেজ এবং পেট্রোল স্টেশন খোলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বিএসপি সহ বহু দল এই বনধ সমর্থন করছে। তাহলে আজ এই বন্ধে কী খুলবে আর কী বন্ধ থাকবে?

উল্লেখ্য, ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছে ন্যাশনাল কনফেডারেশন অফ দলিত অ্যান্ড ট্রাইবাল অর্গানাইজেশন (NACDAOR)। NACDAOR তাদের সঠিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য সরকারি পরিষেবাগুলিতে SC/ST/OBC কর্মীদের অবিলম্বে জাত-ভিত্তিক তথ্য প্রকাশের দাবি করেছে। দলিত ও উপজাতি সংগঠনগুলি চাকরি ও শিক্ষায় প্রান্তিক সম্প্রদায়ের বৃহত্তর প্রতিনিধিত্বের দাবিতে জোর দিতে এবং তাদের সাংবিধানিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আজ ভারত বন্ধ ঘোষণা করেছে। এই সংগঠনগুলি বলেছে যে এই ধর্মঘট একটি শান্তিপূর্ণ ধর্মঘট হবে। তবুও পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক রাখা হয়েছে। বিক্ষোভের সময় জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ ব্যাপক ব্যবস্থাও নিচ্ছে।

আজ কী স্কুল বন্ধ থাকবে?

মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, বন্ধের ডাক সত্ত্বেও সরকারি অফিস, ব্যাঙ্ক, স্কুল, কলেজ এবং পেট্রোল পাম্প খোলা থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যসেবা, জল সরবরাহ, গণপরিবহন, রেল এবং বিদ্যুতের মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলিও আজ চালু থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স এবং চিকিৎসা সুবিধার মতো জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে। ব্যাংক, সরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি। তবে, ভারত বন্ধের সময় গণপরিবহন পরিষেবা প্রভাবিত হতে পারে। কিছু জায়গায় বেসরকারি অফিসও বন্ধ থাকতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে ঠিক কেন ভারত বন্ধ ডাকা হল? সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court) কোন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে দলিত সংগঠনগুলো? দলিত সংগঠনগুলোর দাবি কী?
সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দিয়েছিল?

সুপ্রিম কোর্ট SC-ST সংরক্ষণে ক্রিমি লেয়ার নিয়ে রায় দেওয়ার সময় বলেছিল, সমস্ত SC এবং ST জাতি এবং উপজাতিরা সমান শ্রেণী নয়। কিছু জাতি আরও পিছিয়ে থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ – নর্দমা পরিষ্কারকারী এবং তাঁতি। এই উভয় জাতিই SC-এর অধীনে আসে, কিন্তু এই বর্ণের লোকেরা বাকিদের চেয়ে বেশি পিছিয়ে থাকে। এই ব্যক্তিদের উন্নতির জন্য, রাজ্য সরকারগুলি এসসি-এসটি সংরক্ষণকে শ্রেণিবদ্ধ করে (সাব-ক্লাসিফাইং) আলাদা কোটা নির্ধারণ করতে পারে। এটা করা সংবিধানের 341 অনুচ্ছেদের পরিপন্থী নয়। সেই সঙ্গে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে আর্থিক বিষয়টিরও উল্লেখ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তফসিলি জাতি এবং জনজাতি সমাজের মধ্যে যাঁরা আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল বা যাঁদের একাধিক প্রজন্ম আগেই সংরক্ষণের সুবিধা পেয়েছেন তাঁদের সংরক্ষণ বাতিল করে, আর্থিক ভাবে যাঁরা পিছিয়ে রয়েছেন তাঁদের চিহ্নিত করে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার পক্ষে রায় দেয় শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়-সহ সাত সদস্যের বেঞ্চের ছয় জন বিচারপতি সংরক্ষণের আওতাধীন জাতিগুলির ক্রিমিলেয়ার চিহ্নিত করার পক্ষে রায় দেন। কোটা ঠিক করার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি রাজ্যগুলিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দাবি যে, রাজ্য সরকার ইচ্ছামত এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এতেও দু’ টি শর্ত প্রযোজ্য হবে।
দু’ টি শর্ত কী
1) 100% কোটা SC-এর মধ্যে কোনও এক জাতিকে দেওয়া যাবে না।
2) SC-তে অন্তর্ভুক্ত যে কোনও বর্ণের কোটা নির্ধারণের আগে, এর অংশ সম্পর্কে যথাযথ তথ্য থাকতে হবে।

আরও পড়ুনঃ আজ ২১শে আগস্ট জঙ্গলমহলের এই রকমের আবহাওয়া থাকতে পারে

সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধেই পথে নেমেছে ন্যাশনাল কনফেডারেশন অফ দলিত অ্যান্ড ট্রাইবাল অর্গানাইজেশন। তাদের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের রায় তফসিলি জাতি, উপজাতির সাংবিধানিক অধিকারকে খর্ব করবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বাতিলের বুধবার ভারত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে।