কোভিড চলাকালীন, গায়ের গয়না হয়ে উঠেছিল মাস্ক। কিন্তু আজ সেই মাস্কে পরাতেই কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিয়েছে বেঙ্গালুরু (Bengaluru)। কিন্তু কেন?
কোভিড -19 মহামারী চলাকালীন, সুপারমার্কেট এবং অন্যান্য পাবলিক স্থানে মাস্ক যেখানে পরতেই হতো, এখন সেখানে দাঁড়িয়েই বেঙ্গালুরুর কিছু সুপারমার্কেট মাস্কই সরাসরি নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। চোরেরা নাকি চুরি করতে আসছেন মাস্ক পরেই। তাঁদের পরিচয় গোপন করার জন্য এই মাস্কই মুখোশ হিসাবে ব্যবহার করছেন এবং আরও সহজে চুরি করছেন তাঁরা। এর দরুণ মহাবিপাকে পড়েছে সুপারমার্কেটগুলি। এই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে মাস্ক পরার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশও এই বিষয়টা মানে। মাস্ক পরেই আজকাল গলার চেন ছিনতাই, মানিব্যাগ চুরির ঘটনা বেড়েছে। কোভিডের সময় তো এই জিনিস মাত্রা ছড়িয়েছিল।
রাজেশ আরাধ্য, যিনি কেঙ্গেরির একটি সুপার মার্কেটে কাজ করেন, বলেছেন যে গত মাসে, তাঁদের দু’ টি দোকান থেকে 3 লক্ষ টাকার জিনিসপত্র চুরি হয়েছে। তাঁর নিজের দোকানে প্রায় 1.2 লাখ টাকার জিনিস নষ্ট হয়েছে। তাঁরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীকে শনাক্ত করতে গিয়েও পারেননি। কারণ চোরেরা মাস্ক পরে মুখ লুকিয়ে ছিল। রাজেশ আরও জানিয়েছেন যে চোরেরা নিজেদের ব্যাগে বা শার্ট, প্যান্টের মধ্যে চুরি করা জিনিস লুকিয়ে রাখেন। তারপরে তাঁরা চুরি হওয়া জিনিসগুলি থেকে বিভ্রান্ত করার জন্য চেকআউটে কয়েকটি সস্তা আইটেম কিনে নেয়। যদিও কিছু স্টোর, ভিতরে ব্যাগ নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয় না, তবে ছোট দোকানগুলিতে প্রায়শই এই বিকল্প থাকে না। ফলে চোরেদের সুবিধাও হয়।
তাহলে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয় না কেন?
রাজেশ বলেছেন যে তাঁরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন না কারণ চুরির পরিমাণ সাধারণত 1,000 থেকে 2,000 টাকার মধ্যে থাকে, যা পুলিশ গুরুত্ব সহকারে নাও নিতে পারে। এছাড়াও, একই চোর প্রায়শই ফিরে আসে না, চুরি করার জন্য বিভিন্ন লোক রয়েছেন। একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসারও এ প্রসঙ্গে যোগ করেছেন যে সুপারমার্কেটগুলি প্রায়শই চুরির রিপোর্ট করে না। মাস্ক পরে চুরি করা অপরাধীদের ধরা পুলিশের পক্ষেও কঠিন।
প্রসঙ্গত, ইদানীং অনেক চোর-ডাকাত মাস্ক ব্যবহার করে পুলিশের কাছ থেকে মুখ লুকাচ্ছেন। কোভিড-19-এর আগে, অপরাধীরা একই কারণে হেলমেট ব্যবহার করত, কিন্তু কিছু সময়ের মধ্যেই সেগুলি সরিয়ে ফেলার আদেশ জারি করা হয়েছিল।