বিক্রম ব্যানার্জী: মসজিদে সমীক্ষাকে কেন্দ্র করে উত্তাল উত্তরপ্রদেশ(Uttar Pradesh)। সূত্রের খবর, রবিবার রাজ্যের(Uttar Pradesh) সম্ভল এলাকার বহু প্রাচীন এক মসজিদে সমীক্ষা করার নির্দেশকে ঘিরে পুলিশের সাথে স্থানীয় বাসিন্দাদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যার জেরে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে 4 জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সাথে আহত হয়েছেন অনন্ত 30 জন পুলিশ কর্মী।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মোঘল সম্রাট বাবর হরিহর মন্দির ভেঙে সেখানে জামা মসজিদ তৈরি করেছিলেন। যার ভিত্তিতে স্থানীয় আদালতে দায়ের করা হয় মামলা। মঙ্গলবার সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কর্মকর্তাদের মসজিদে গিয়ে বিশেষ সমীক্ষা চালানোর নির্দেশ দেয় আদালত। মঙ্গলবার সমীক্ষার কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় পরবর্তী সমীক্ষার দিন ঠিক হয় রবিবার। সেই মত সরকারি কর্মীরা মসজিদে সমীক্ষা চালাতে গেলে চরমে ওঠে পরিস্থিতি।
পুলিশের সাথে স্থানীয় জনতার ভয়াবহ সংঘর্ষে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। বেশ কয়েকজন হিন্দু ধর্মালম্বীর দাবি, বর্তমানে যেটি জামা মসজিদ সেখানে এক সময়ে একটি হিন্দু মন্দির ছিল। যা ভেঙে এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন মোঘল সম্রাট বাবর। দীর্ঘদিন ধরেই সম্ভলের মসজিদ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র আইনি লড়াই চলছিল। শেষ পর্যন্ত এক পিটিশানের ভিত্তিতে আদালত আসল সত্যি জানতে মসজিদে সমীক্ষা চালানোর নির্দেশ দিলে গোটা মসজিদ চত্বরজুড়ে স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়েন সমীক্ষকরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিরাট পুলিশ বাহিনী। কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশের তরফে লাঠিচার্জও করা হয়েছিল বলেই খবর। সূত্র বলছে, গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুজন মহিলা সহ 21 জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
ধৃত ব্যক্তিদের মধ্যে যারা ওই সংঘাতের ঘটনায় যুক্ত ছিলেন তাদের সকলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বলা বাহুল্য, উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে জামা মসজিদ সমীক্ষাকে কেন্দ্র করে হওয়া তুমুল সংঘর্ষে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। একই সাথে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় সম্ভল এলাকার ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। এছাড়াও দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত স্কুলে 25 নভেম্বর অর্থাৎ সোমবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।