ঝাড়গ্রামে তৃণমূলের বিপুল জয়, সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা মানছে বিজেপি

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

স্বপ্নীল মজুমদার~ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নেই আস্থা রাখল জঙ্গলমহল। ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সরেন। তিনি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রণত টুডুকে ১ লক্ষ ৭২ হাজার ভোটে পরাজিত করেছেন। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম শহরের রানি ইন্দিরাদেবী মহিলা কলেজে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভার ভোট গণড়া শুরু হয় সকাল ৮টা নাগাদ। প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ। সকালে বিজেপি শিবিরে উচ্ছ্বাস নিমেষে কার্যত উবে যায়।

আরও পড়ুনঃ মানুষের সেবকরা নিশ্চয়ই রক্ত ঝরাবেন না

দুপুরে পর বিজেপি শিবিরে মাংস ভাত রান্না হলেও খাওয়ার মত কেউ ছিলেন না। বিপুল ব্যবধানে কালীপদ এগিয়ে যেতে থাকায় এক সময় বিজেপির কাউন্টিং এজেন্টরা হল ছেড়ে বেরিয়ে যান। এবার ভোটে তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলের প্রার্থীই রাজনীতিতে নবাগত। সরকারি চিকিৎসকের চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে ভোটে লড়তে নামেন প্রণত টুডু। অন্যদিকে সাঁওতালি সাহিত্যিক কালীপদ সরেনও পাল্লা দিয়ে প্রচার করেন। কালীপদের প্রচারে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা দলের গোপীবল্লভপুর বিধানসভার পর্যবেক্ষক অজিত মাহাতো। অজিত বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের উন্নয়নের জয় হয়েছে। বিজেপি মানুষকে ভুল বোঝানোর অনেক চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ওরা সফল হয়নি।’’ জয়ের পর তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সরেন বলেন, ‘‘এটা মা-মাটি-মানুষের জয়। এটা জঙ্গলমহলবাসীর জয়। রাজ্য সরকারের উন্নয়নের এটি প্রতিফলন।

সাংসদ হয়ে প্রথমেই প্রিয় ঝাড়গ্রামকে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করব। বিধানসভা ভিত্তিক সমস্যা গুলি মেটানোর চেষ্টা করব।’’ বিজেপির নেতারা পরাজয় স্বীকার করে বলছেন, সাংগঠনিক দুর্বলতা ছিল। হারের কারণ পর্যালোচনা করা হবে।’’ বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডু অবশ্য বিজয়ী প্রার্থী কালীপদ সরেনক এদিন জয়ের জন্য অভিনন্দন জানান।