মুর্শিদাবাদে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল তৃণমূল (TMC) কর্মীর। রবিবার রাতে কয়েক জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে পর পর কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। তাতেই ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন যুবক। হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছেন স্থানীয় তৃণমূল (TRINOMOL CONGRESS) নেতৃত্ব। যদিও বিজেপি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশের অনুমান, পুরনো শত্রুতার জেরেও হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে তৃণমূল কর্মীকে। শুরু হয়েছে তদন্ত।ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে সনাতন মণ্ডল (৩২) নামক ওই যুবকের।
সনাতন মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত চোয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় দুধ ব্যবসায়ী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সনাতন মণ্ডল সহ আরও দুই যুবক একটি বাইকে করে গজনিপুর থেকে শ্রীপুরে যাচ্ছিলেন। পথে একটি ফাঁকা মাঠ লাগোয়া রাস্তায় তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী। গুলিতে কার্যত ঝাঁঝরা হয়ে যায় সনাতনের দেহ। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু, তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। রবিবার রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে হরিহরপাড়ার পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ মদ্যপ অবস্থায় সিজ়ার করার অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে! প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে হাসপাতালে ধুন্ধুমার
এই ঘটনায় রাজনৈতিক টানাপোড়েন তুঙ্গে। তৃণমূল অভিযোগ তুলেছে বিজেপির দিকে। ঘটনায় ব্লক তৃণমূল নেতা রকি শেখ বলেন, ‘এরা তৃণমূলের ভালো কর্মী। যেই এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে বিজেপির প্রভাব রয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ। কিন্তু, আমাদের অভিযোগ বিজেপির দিকে।’
ঘটনায় বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাখারাভ সরকার বলেন, ‘এই ঘটনায় বিজেপি কোনভাবেই জড়িত নয়। তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের জের। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করলে সত্য সামনে আসবে।’
এদিকে ইতিমধ্যেই সনাতনের দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ব্যক্তিগত শত্রুতা নাকি অন্য কোনও কারণ, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে হরিহরপাড়া থানার আইসি অরুপ রায় বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্কের চোরা স্রোত বইছে। থমথমে গোটা এলাকা।