Tamluk BJP: গত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবাংলার নিরিখে বিজেপি (BJP) আশানুরূপ ফল করতে না পারায় প্রশ্ন উঠেছিল বঙ্গ বিজেপির (BJP) নেতৃত্ব নিয়ে। বিজেপির অনেক বর্ষীয়ান নেতা বঙ্গ বিজেপির রণনীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এরইমধ্যে গত ২৭ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বাংলায় এসে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সূচনা করেন। কিন্তু তারপরেও এই কর্মসূচি যে কতটা ফলপ্রসূ হবে সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তমলুক (Tamluk) ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় ৩ লক্ষ করে সদস্য সংগ্রহ করার। যদিও এই কর্মসূচি ঘিরে তেমন একটা উৎসাহ নজরে পড়েনি। এরপর বিজেপি নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেয় মেগা সদস্য সংগ্রহ অভিযান করার। মাঠে নামেন সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিজেও। তারপর থেকে কর্মসূচি ঘিরে কিছুটা হলেও উৎসাহ বেড়েছে। কিন্তু বুথ স্তরে বহু জায়গায় এই কর্মসূচি এখনও শুরু না হওয়ায় বিজেপি নেতাদের চিন্তা এখনই দূর হচ্ছে না।
সূত্রের খবর, তমলুক সাংগঠনিক জেলার অনেক বুথেই এখনও সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করা যায়নি। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের বক্তব্য মেগা সদস্য সংগ্রহ অভিযানে ভাল সাড়া মিললেও আসল লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বিজেপি অনেকটাই দূরে।
জানা গেছে, ২৭ অক্টোবরের পরে তমলুকে ২৯ হাজারের কিছু বেশি মানুষ বিজেপি শিবিরের সদস্য হয়েছেন। মেগা সদস্য সংগ্রহ অভিযানে প্রায় ২২ হাজার জন বিজেপির সদস্য হয়েছেন। তারপরেও কবে শীর্ষনেতাদের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে সেই নিয়ে সন্দিহান বিজেপি নেতৃত্ব।
খোদ বিরোধী দলনেতার জেলায় কর্মসূচি ঘিরে এমন অনীহা দেখা যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীদের কটাক্ষ হজম করতে হচ্ছে বিজেপিকে। এমনিতেই শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে তার মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। সেই নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে কেন্দ্রের শাসক দল। এরইমধ্যে সদস্য সংগ্রহ অভিযান ঘিরে অনীহা সেই অস্বস্তি বাড়িয়েছে। এখন দেখার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে বিজেপি পূরণ করতে পারে কিনা।