সামনেই রাখী(Rakhi) বন্ধন উৎসব। এই উৎসবের যেমন ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি সামাজিক গুরুত্বও অস্বীকার করা যায় না। রাখীবন্ধন উৎসবের আগে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর কচিকাঁচারা নিজেরাই রাখি বানানো শুরু করেছে। যা এক অভিনব উদ্যোগ বলেই জানা যাচ্ছে। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু ছাত্র ছাত্রীরা কর্মশালায় অংশ নিয়ে এই ধরনের রাখি তৈরি করা শেখে।
পশ্চিম মেদিনীপুর(Midnapore) জেলার পলাশী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কচিকাঁচারা স্কুলের উদ্যোগে আয়োজিত হাতে-কলমে রাখী তৈরীর এই কর্মশালায় অংশ নেয়। সেখান থেকে রাখি তৈরি করা শিখে তারা নিজেরাই এবার রাখি বানাতে শুরু করেছে। এই রাখীর বিশেষ উল্লেখযোগ্য দিক হলো, বিভিন্ন ধরনের বীজ দিয়ে এই রাখি তৈরি করা হচ্ছে। যাতে আগামী দিনে ওই রাখি উৎসব শেষ হয়ে যাওয়ার পরে যে সমস্ত জায়গায় ফেলে দেওয়া হবে, সেখানে যাতে একটি গাছ তৈরি হতে পারে।
পলাশী প্রাইমারি স্কুলের ১২৮ জন ছাত্রছাত্রী এই কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৌম্যসুন্দর মহাপাত্র জানালেন, ‘স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা যদি হাতে-কলমে কাজ শেখে তাহলে শিক্ষার আসল ভিত তৈরি হয়। স্কুলের ১২৮ জন ছাত্রছাত্রীকে নিয়েই এই কর্মশালা শুরু হয়েছে। প্রতিবছরই করা হয়ে থাকে। এবার বিভিন্ন বীজ দিয়ে রাখী তৈরি শেখানো হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা সেই রাখী তৈরি করছে।’ শিক্ষকের কথায়, রাখী বন্ধন উৎসব হয়ে যাওয়ার পরে ওই রাখীগুলো এমন জায়গায় ফেলতে বলা হয়েছে, যাতে সেখানে গাছ তৈরি হতে পারে। ফলে পরিবেশের ক্ষেত্রেও এটা একটা ভালো দিক।
আরও পড়ুনঃ সুনসান মেদিনীপুর মেডিক্যাল, আরজি কান্ডের প্রভাব দেশ জুড়ে
এই রাখী তৈরি করা নিয়ে পলাশী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রের কথায়, ‘আমরা সবাই রাখী তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস জোগাড় করে এনেছি। ধান, চাল, বিভিন্ন বীজ, ফুল দিয়ে এই রাখি তৈরি করা হচ্ছে। এর সঙ্গে বিভিন্ন ফেলে দেওয়া জিনিসও রাখী তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাখিতে দেওয়া বীজগুলো থাকে থাকার ফলে যে জায়গায় এগুলো ফেলা হবে, সেখানে গাছ সৃষ্টি হবে। ফলে পশ্চিম মেদিনীপুরের(Midnapore) পলাশী প্রাইমারি স্কুলের এই উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসনীয়।