Purulia Tigress Jinat: পুরুলিয়ার মানবাজারের বাসিন্দাদের ঘুম উড়েছে। ডেরা বদলে বাঘিনী জিনাত (Tigress Jinat) পুরুলিয়া (Purulia) জেলার মানবাজার ২ ব্লকের শুশুনিয়া-বুরুডি এলাকায় ঢুকেছে। জিনাতের (Tigress Jinat) গলায় থাকা রেডিও কলার ট্র্যাক করে তেমনটাই জানা গিয়েছে বলে খবর বন দফতর সূত্রে। ঐ জঙ্গল এলাকার আশেপাশেই রয়েছে জনবসতি। বাঘিনী ডেরা বদলে তাই তটস্থ এলাকার বাসিন্দারা। সতর্ক বন দফতরের কর্মীরাও।
ঝাড়খণ্ড সীমান্ত দিয়ে প্রথমে ঝাড়গ্রামে প্রবেশ করেছিল জিনাত। সেখানে শিমূলপাল গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে কিছুদিন কাটিয়ে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে রাইকা পাহাড়ে চলে আসে বাঘিনী। এরপর আস্তানা বদলে পাশের ভাঁড়ারি পাহাড়ের জঙ্গলে ঘাঁটি গাড়ে সে। এখন প্রায় ১৫ কিমি এলাকা পার হয়ে মানবাজার ২ ব্লকের শুশুনিয়া-বুরুডি এলাকায় চলে এসেছে জিনাত। ঐ এলাকায় রয়েছে আকাশমণি গাছের জঙ্গল। কিন্তু চিন্তার বিষয় ঐ এলাকায় রয়েছে জনবসতি। ফলে সতর্ক বন দফতর। এর আগে ছাগল মহিষের টোপ সহ খাঁচা পেতেও বাঘিনীকে ধরা যায়নি। এবার ট্রাঙ্কুইলাইজার ব্যবহার করে জিনাতকে বাগে আনতে উদ্যোগী হয়েছে বন দফতর।
সিমলিপালের ব্যাঘ্র প্রকল্পের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পূর্ণ বয়স্ক বাঘিনী জিনাত। কিছুদিন আগে নিজের স্বাভাবিক বিচরণস্থল ত্যাগ করে ঝাড়খণ্ডের দিকে চলে আসে সে। অনুমান, সিমলিপাল থেকে গুরবান্দা হয়ে সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে ঝাড়খণ্ডে পৌঁছে ছিল বাঘিনীটি। তারপর থেকে জামশেদপুর বন বিভাগের চাকুলিয়া রেঞ্জের জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে তাকে। মিলেছিল গবাদি পশুর দেহাবশেষও। ঝাড়গ্রাম-ঝাড়খণ্ড সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে এর জেরে আতঙ্ক ছড়ায়। রাজ্য বন বিভাগ কড়া পাহারা বসায়। সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পের কর্মীরা তাকে ধরতে গভীর জঙ্গলে খাঁচা বসায়। ছাগল, মহিষের টোপও দেওয়া হয়। কিন্তু বাঘিনী ধরা দেয়নি। দিন কয়েক চাকুলিয়ার জঙ্গলে ঘুরে অভিমুখ বদলেছিল বাঘিনীটি। মনে করা হয়েছিল, ওড়িশার দিকে ফিরে চলেছে সে। কিন্তু বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানা পেড়িয়ে ঝাড়গ্রামে প্রবেশ করে জিনাত। ঝাড়গ্রামের শিমূলপাল গ্রাম পঞ্চায়েতের কচুটুয়া-মাঝগেড়িয়ার জঙ্গলে ঢুকে পড়ে সে। তারপর ঝাড়গ্রাম থেকে পুরুলিয়ার রাইকা পাহাড়। এবার পুরুলিয়ারই মানবাজারে আতঙ্ক ছড়ালো বাঘিনী জিনাতের জেরে।