চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
Purba Midnapore Rape: পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে (Purba Midnapore Rape) অভিযোগ উঠেছে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও হত্যার। ঘটনায় উত্তেজিত গ্রামবাসীদের গণপিটুনিতে মৃত্যু হল একজন অভিযুক্তের। সেই সঙ্গে বধূর ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উঠে আসছে একাধিক তত্ত্ব। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, অভিযুক্তদের অবৈধ সম্পর্কের কথা জেনে যাওয়ায় মুখ বন্ধ করতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল।
মৃতার পরিবারের দাবী, গত ৪ঠা অক্টোবর দুপুর নাগাদ বাড়ির পেছনের মাঠে গরু ছাগল চরাতে গিয়েছিলেন মধ্যবয়স্ক ঐ মহিলা। সেখান থেকেই তাঁকে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পরে বিবস্ত্র অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। সেই সময় ঐ মহিলার মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বের হচ্ছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মহিলাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় তমলুকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। রবিবার ভোরে সেখানের তাঁর মৃত্যু হয়। এর পরেই উত্তাল হয়ে ওঠে পটাশপুর এলাকা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মহিলাকে ধর্ষণের পর মুখে কীটনাশক ঢেলে দেওয়া হয়েছিল। রবিবার এক অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হন গ্রামবাসীরা। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বাঁশ, লাঠি ইত্যাদি দিয়ে প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে বেধরক মারধর করা হয়। গণধোলাইয়ে গুরুতর আহত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তির নাম সুখচাঁদ মাইতি। অভিযুক্তের মৃতদেহ কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
মহিলার ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উঠে আসছে বিভিন্ন তত্ত্ব। মৃতার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি মহিলার দূর সম্পর্কের আত্মীয়। প্রতিবেশী এক মহিলার সঙ্গে ঐ ব্যক্তির অবৈধ সম্পর্ক ছিল। মৃতা মহিলা তাঁদের ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন। এরপর কোন ভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তির পরকীয়ার ঘটনা অনেকেই জেনে যান। অভিযুক্তের সন্দেহ হয় প্রতিবেশী বধূ ঘটনার কথা সকলকে জানিয়েছেন। সেই রোষ থেকেই মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও কীটনাশক খাইয়ে হত্যা করা হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছাড়াও আরও ব্যক্তি জড়িত। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তাম্রলিপ্ত জেলা সদর হাসপাতালে মহিলার দেহের ময়নাতদন্ত হবে বলে জানা গিয়েছে। মহিলার মৃত্যু ও অভিযুক্তের গণপিটুনিতে মৃত্যু – দুই ঘটনারই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।