মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের কড়া বার্তার পর কলকাতা থেকে জেলা সর্বত্র হকার উচ্ছেদে সক্রিয় পুলিশ।মেদিনীপুর (Medinipur)শহরে হকার উচ্ছেদ নিয়ে এবার উত্তেজনা ছড়াল । জানা গেছে এদিন মেদিনীপুর কলেজ রোডের দুপাশে হকার উচ্ছেদ করতে গেলে পুলিশ এবং পুরসভার ব্যক্তিদের বাধা দেন হকাররা। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি, শেষপর্যন্ত কলেজ রোড অবরোধ করেন হকাররা। শুরু হয় তীব্র যানজট। এরপর মহকুমা শাসক মধুমিতা মুখার্জি ঘটনাস্থলে পৌঁছন ঘটনাস্থলে। তিনি হকারদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর হকাররা অবরোধ তুলে নেন।
আরও পড়ুনঃ উন্নয়নের সঙ্গে কোন আপস নয়, বৈঠকে কড়া বার্তা জেলাশাসকের
স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে মহকুমা শাসক এবং পৌরপ্রধান সৌমেন খানের সঙ্গে বৈঠক করেন হকাররা। সেখানে ঠিক হয় কলেজ রোডের দুপাশ থেকে উঠে যাবেন তারা। বদলে তাদের জন্য অন্য জায়গার ব্যবস্থা করা হবে। হকাররা এই প্রস্তাবে রাজিও হয়েছিলেন। কিন্তু এদিন হকাররা বাধা দেন পুলিশ এবং পুরসভার কর্মীদের। চলে তুমুল বাক – বিতণ্ডা। রাস্তায় তৃণমূলের পতাকা হাতে বসে পড়েন তারা। পৌরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, ‘ গত সপ্তাহে হকারদের সঙ্গে কথা বলেছি আমরা। ওনারা পুনর্বাসনের সিদ্ধান্তে রাজি ছিলেন। কিন্তু আজ ওনারাই আমাদের বাধা দেন। পুলিশ – প্রশাসন এরপর যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। শাসক দলের শহর সভাপতি বিশ্বনাথ পাণ্ডব বলেন, ‘হকারদের সরানোর আগে সর্বদলীয় বৈঠক করা উচিত ছিল।’
বিক্ষোভের কথা শুনে দুপুর একটা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছন মেদিনীপুরের (Medinipur) মহকুমা শাসক মধুমিতা মুখার্জি
বিক্ষোভের কথা শুনে দুপুর একটা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছন মহকুমা শাসক মধুমিতা মুখার্জি। তিনি হকারদের সঙ্গে কথা বলেন। ডি আই অফিসের গলিতে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হয়েছে জানার পর হকাররা অবরোধ তুলে নেন। মহকুমা শাসক মধুমিতা মুখার্জি বলেন, ‘এই জায়গাটির ঐতিহাসিক তাৎপর্য আছে। জবরদখলকারীদের জন্য অঞ্চলটির পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। শেষপর্যন্ত সমস্যার সমাধান হল। এবার দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।