স্বপ্নীল মজুমদার: জ্বলন্ত হুলার বর্শা বিঁধে একটি স্ত্রী হাতিকে(Elephant) মেরে ফেলার প্রতিবাদে রবিবার ঝাড়গ্রাম(Jhargram)শহরে পথসভা ও মিছিল করল রাজেশ মাহাতোর নেতৃত্বাধীন কুড়মি সমাজ (Kurmi Samaj)। রবিবার বিকেলে ঝাড়গ্রাম(Jhargram) শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাস চত্বরে পথসভা করেন রাজেশ সহ সংগঠনের নেতা-নেত্রীরা। তারপর শহরে মিছিল করে।
হাতিটির মৃত্যুর জন্য গাফিলতির অভিযোগ তুলে বনমন্ত্রী(Minister of Forest) ও ঝাড়গ্রামের ডিএফও-র (DFO Jhargram)বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের দাবি তোলে ওই কুড়মি(Kurmi) সংগঠন। মিছিল থেকে বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা ও ডিএফও-র বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়।বৃহস্পতিবার সকালে ঝাড়গ্রাম শহরে ঢুকে পড়েছিল দু’টি শাবক সমেত পাঁচটি হাতি। এর মধ্যে একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ দাঁতাল হাতিকে ঘুম পাড়ানি গুলি ছুড়ে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ সময় লাগবে আরও কম! দুর্গাপুর এক্সপ্রেস ওয়ের কাজ জোর কদমে
একটি স্ত্রী হাতিকে তাড়ানোর সময় জ্বলন্ত হুলার বর্শা ছুড়ে মারা হয়। বর্শাটি হাতির পিঠে বিঁধে যায়। তার জেরে হাতিটির মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। এ ব্যাপারে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে বন দফতর। তবে অভিযুক্তকে শনাক্ত করা যায়নি। কুড়মি সমাজ (পশ্চিমবঙ্গ)-এর রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাতো বলেন, ‘‘বন্যপ্রাণ ও মানুষের সুরক্ষা দিতে বন দফতর ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। হাতির মৃত্যুর ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয় ও বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের ঘটনা। তাই প্রতিবাদে পথে নেমেছি।’’