চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য
Paschim Midnapore: সংসারে অনটন! তাই ফুটবল তুলে রেখে টোটোকে সঙ্গী করেছেন! টোটো চালিয়ে দারিদ্র্যের সঙ্গে ড্রিবল করছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Midnapore) গোয়ালতোড়ের (Goaltore) জিরাপাড়া অঞ্চলের ছোট নাকদনা গ্রামের আদিবাসী মহিলা ফুটবলার (Woman Footballer) কালীমণি মাণ্ডি (Kalimoni Mandi)। জেলার একদা সম্ভবনাময় মহিলা ফুটবলার এখন ব্যস্ত টোটোচালক।
বেশকিছু বছর আগের কথা। জেলার সম্ভবনাময় মহিলা ফুটবলার ছিলেন কালীমণি মাণ্ডি। অঞ্চল বা ব্লক স্তরের দলে তাঁর অন্তর্ভুক্তি ছিল অবশ্যম্ভাবী। খেলতেন মাঝমাঠে। পেয়েছেন বিস্তর পুরস্কার। এলাকার মেয়েদের নিয়ে ফুটবল দল তৈরি করেছিলেন। ইচ্ছা ছিল জেলার মহিলা ফুটবলে প্রাসঙ্গিক অবদাম রাখা। কিন্তু বাস্তব ও স্বপ্নের বিস্তর ফারাক। তাই গোয়ালতোড়ের জিরাপাড়া অঞ্চলের ছোট নাকদনা গ্রামের বাসিন্দা কালীমণি মাণ্ডি এখন ফুটবল মাঠ ছেড়ে ব্যস্ত রাস্তায় টোটো চালান। সেই আয়কে সঙ্গে নিয়ে সংসারের হাল ধরেছেন তিনি।
তাঁদের ১৩ জনের সংসার। অনটন নিত্য সঙ্গী। বাবা মারা যাওয়ার পর অনটন বাড়ে। পড়াশোনা বেশিদূর হয়নি। বছর দেড়েক আগে কিস্তিতে টোটো কিনে চালাতে শুরু করেন কালীমণি। জিরাপাড়া থেকে গোয়ালতোড় পর্যন্ত রাস্তায় টোটো চালিয়েই সংসার চলে বছর ঊনত্রিশের এই প্রাক্তন ফুটবলারের। রয়েছে এক ফসলি বিঘা দেড়েক জমি। দাদা ভাইদের সঙ্গে চাষের কাজেও হাত লাগান তিনি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, একশো দিনের কাজের আয়ও দেন সংসারে। পেশাদারি ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন ত্যাগ করলেও, ফুটবলের স্বপ্ন ছাড়েননি কালীমণি। নিজের হাতে গড়া এলাকার ফুটবল দলের সঙ্গে মাঝে মধ্যে অনুশীলন করেন, দেন পরামর্শ। কালীমণির ফুটবলের মাঠ এখন মেঠো রাস্তা। তাতে ফুটবল নয়, গড়িয়ে চলে টোটো আর সংসারের চাকা।