চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য
Paschim Midnapore: মেদিনীপুরের (Midnapore) একাধিক জায়গায় ডাকাতির ছক কষেছিল তারা! তারপর বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে এই রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Midnapore) প্রবেশ করেছিল ১৩ জন ভিন রাজ্যের ডাকাত দল। কিন্তু জেলা পুলিশের তৎপরতায় ভেস্তে গেল তাদের পরিকল্পনা। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের কাছে তথ্য মিলতেই রবিবার দুপুর থেকে ঘাটাল মহকুমায় ৮ ঘন্টা ধরে অভিযান চালিয়ে ১৩ জনের ডাকাত দলকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ (Paschim Midnapore Police)।
ডাকাত দলের গ্রেপ্তারির পরে রবিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। তিনি জানিয়েছেন, কলকাতা পুলিশের তরফে খবর এসেছিল বড় ঘটনা ঘটাতে ১০ থেকে ১২ জন দুষ্কৃতির একটি দল জেলায় সমবেত হয়েছে। এর পরেই নিজেদের নেটওয়ার্ক ও সোর্স কাজে লাগিয়ে অনুসন্ধানে নামে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। তারপর রবিবার দুপুর থেকে ঘাটাল ও চন্দ্রকোনার সীমান্ত এলাকায় অভিযানে নামে জেলা পুলিশ। অভিযানে ছিলেন ঘাটাল ও চন্দ্রকোনা থানার আধিকারিকরা, ঘাটালের এসডিপিও, অ্যাডিশনাল পুলিশ সুপার ও নেতৃত্বে স্বয়ং পুলিশ সুপার। আলুই এলাকা থেকে ১৩ জন ডাকাতের পুরো দলটিকেই ধরে পুলিশ।
পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, ডাকাত দলের অধিকাংশই বিহার ও ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতি। ভিন রাজ্য থেকে অস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়েছিল তারা৷ তাদের কাছ থেকে ৩টি ওয়ান শর্টার বন্দুক ও ১০টি কার্তুজ মিলেছে। দলের মূল চক্রী রঞ্জিত ২০১০ সালে সাজাপ্রাপ্ত আসামী। এতদিন জেলে ছিল সে। সেখানেই ডাকাতির পরিকল্পনা করে। দুষ্কৃতিদের জেরা করে জানা গিয়েছে, ভিন রাজ্য থেকে অস্ত্র সহ রেলপথে এসেছে তারা। বিহারের জামুই থেকে তাদের পরিচালনা করা হচ্ছিল। রবিবার রাতেই তারা একটি রাসায়নিক সারের বড় গুদামে ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিল। সেই সঙ্গে গড়বেতা দাসপুর মেছোগ্রাম রুটের একটি ট্রাককেও তারা টার্গেট করেছিল। তাদের পরিকল্পনায় ছিল খড়ার ক্ষীরপাই চন্দ্রকোনা ঘাটাল থেকে আরামবাগগামী রাস্তায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের একটি শাখাও। দুষ্কৃতিদের থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া মোবাইলে সেই ব্যাঙ্কের ছবি সহ বিভিন্ন তথ্য মিলেছে। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে ছোট দলে ভাগ হয়ে একাধিক সাধারণ বাহন ব্যবহার করেছিল দুষ্কৃতিরা। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় বড় সড় ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেল পশ্চিম মেদিনীপুর।