স্বপ্নীল মজুমদার: দলত্যাগ বিরোধী আইনে সদস্য পদ খারিজ হল কুড়মি(Kurmi) বোর্ডের এক পঞ্চায়েত প্রধানের। ঘটনাটি ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার জামবনি(Jamboni) ব্লকের কেন্দডাংরি গ্রাম পঞ্চায়েতের। দলত্যাগ বিরোধী আইনে সদস্য পদ হারিয়ে ওই পঞ্চায়েতের প্রধান পদ খোয়ালেন মামনি খিলাড়ি। কেন্দডাংরি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন দশটি।
আরও পড়ুনঃ ঝাড়গ্রাম উত্তাল বিজেপির মিছিলে
গত বছর পঞ্চায়েত ভোটে ছ’টিতে তৃণমূল ও চারটিতে কুড়মি জোটের নির্দল প্রার্থীরা জয়ী হন। তৃণমূলের ছয় প্রার্থীর অন্যতম মামনি খিলাড়ি সাধারণ আসন আসনে জিতেছিলেন। প্রধান পদটি তফসিলি (এসসি) জাতির প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত ছিল। প্রধান নির্বাচনের দিন তৃণমূলের প্রস্তাবিত প্রার্থীর বিপক্ষে কুড়মি জোটের নির্দল প্রার্থীরা মামনির নাম প্রধান পদে প্রস্তাব করেন। কারণ, মামনির তফসিলি জাতিগত শংসাপত্র ছিল। ভোটাভুটিতে সমান (৫-৫) সংখ্যক ভোট পড়ায় শেষে লটারিতে প্রধান হন মামনি। উপপ্রধান হন তৃণমূলের পানমণি টুডু। মামনির জাতিগত শংসাপত্রটি ভুয়ো বলে গত বছর সেটি বাতিল করে দিয়েছিল প্রশাসন। চলতি বছরের গোড়ায় তাঁকে প্রধান পদ থেকে অপসারণ করেন মহকুমাশাসক। অপসারণের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন মামনি।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি মামনির শংসাপত্র বাতিলের প্রশাসনিক নির্দেশটি খারিজ করে দেয় কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। ফের প্রধান পদ ফিরে পান মামনি। এরপর ১৩ জুন কেন্দডাংরি পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য বিনয় মাহাতো দলত্যাগ বিরোধী আইনে মামনির সদস্যপদ খারিজের জন্য বিডিও-র কাছে আবেদন করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর দু’পক্ষকে শুনানিতে ডাকেন বিডিও। মামনি শুনানিতে হাজির হননি। এরপর তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত আইনের ২১৩ক ধারায় সোমবার মামনির পঞ্চায়েত সদস্য পদ খারিজ করে দেন বিডিও।
আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানের ঘরে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিয়ে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয় বাংলাদেশের
জামবনির বিডিও দেবব্রত জানা বলছেন, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখে মামনিদেবীর সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে। আপাতত উপপ্রধানকে অস্থায়ী ভাবে প্রধান পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেমন নির্দেশ দেবেন সেইমত পদক্ষেপ করা হবে।’’