Midnapore: আর জি কর(RG Kar) হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য। খাস কলকাতার নারী নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। এরই মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের(Purba Midnapore) একটি ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে সাম্প্রতিক সময়ে নারী নিরাপত্তা(Women’s safety) নিয়ে এত আলোচনা, প্রশাসনের তরফ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসের পরও রাজ্যের নারী নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সামগ্রিক চিত্রটার বদল ঘটছে কি?
জানা গেছে পূর্ব মেদিনীপুরের একটি গ্রামে হার চুরির অপরাধে এক মহিলাকে(Women) রীতিমত বিবস্ত্র করে বস্তায় ঢুকিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন ওই মহিলার আত্মীয় পরিজনরা। এমনকি যাদের তরফ থেকে হার চুরির অভিযোগ করা হয়েছিল তারাও বেপাত্তা। পুলিশ ওই মহিলাকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে, অবস্থার অবনতি হলে মহিলাকে পাঠানো হয় স্থানীয় নার্সিংহোমে।
এই ঘটনার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অবশ্য পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই ঘটনা নিয়ে এখনও কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। তারপরেও প্রশ্ন উঠছে একজন মহিলার উপর এমন নারকীয় অত্যাচারের পরও পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করল না কেন?
আরও পড়ুনঃ একাধিক তৃণমূল নেতার কুকীর্তি ফাঁস! মুখ খুললেন তৃণমূলের মন্ত্রী উদয়ন গুহ
ঘটনাটির মধ্যে রাজনীতির ছায়াও দেখছেন অনেকে। কারণ যে গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে দুটি গ্রাম সংসদ রয়েছে বলে খবর। যার একটিতে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি অন্যটিতে তৃণমূল। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, যে পরিবার থেকে হার চুরির অভিযোগ করা হয়েছিল সেই গ্রাম সংসদে গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল জিতেছে। তবে এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল জেলা সভাপতি পীযূষকান্তি পন্ডা বলেন, ‘ এমন ঘৃন্য কাজে নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিক।’ জেলা বিজেপির সহ সভাপতি জানিয়েছেন, ‘দলের তরফে আক্রান্ত মহিলা এবং তার পরিবারকে সাহায্য করা হচ্ছে।’