চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে পশ্চিম মেদিনীপুর (Midnapore) জেলার শতাধিক স্কুলে বসতে চলেছে তাঁর মূর্তি। তাই আসন্ন ২৬ সেপ্টেম্বরের আগে জেলার স্কুলগুলিতে প্রস্তুতি তুঙ্গে। জেলার বিভিন্ন শিল্পীর কাছে স্কুলগুলি শ্বেতপাথরের মূর্তি বসানোর বায়না দিয়েছে। সেই মতো জেলার পাথরেত শিল্পীদেরও ব্যস্ততা এখন শুধুমাত্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি নির্মাণকে কেন্দ্র করেই।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০৬তম জন্মদিবস আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর। বাঙালির কাছে আদর্শ শিক্ষক হিসাবে সম্মান পান বীরসিংহের এই সিংহ ব্যক্তিত্ব। তাই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর জন্মদিবসকেই শিক্ষক দিবস হিসাবে পালনের দাবি উঠেছে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ হল, বিদ্যাসাগরের নিজের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরের অধিকাংশ স্কুলেই তাঁর মূর্তি নেই। চলতি বছরের জুন মাসে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের শিক্ষা বিষয়ক স্থায়ী সমিতির সভায় জেলার হাই, জুনিয়র এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে বিদ্যাসাগরের মূর্তি বসানার প্রস্তাব পেশ করা হয়। সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে স্কুলে বিদ্যাসাগরের মূর্তি বসাতে উদ্যোগী হয়েছে জেলার শতাধিক স্কুল।
অন্যদিকে বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান বীরসিংহ গ্রামটি ঘাটাল মহকুমাতেই অবস্থিত। তাই গত ৩ জুলাই মহকুমা শাসকের দপ্তরে একটি সভায় মহকুমার সমস্ত স্কুলকে বিদ্যাসাগরের মূর্তি বসানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। সেই উদ্যোগে সাড়া দিয়েছে অনেক স্কুল। ইতিমধ্যেই মহকুমার ৭০টিরও বেশি স্কুল নিজ উদ্যোগে প্রতিকৃতি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা, অভিভাবক, স্থানীয় বাসিন্দারা চাঁদা সংগ্রহ করেছেন। আবার অনেক স্কুলই ইচ্ছা থাকলেও খরচের কারণে পিছিয়ে এসেছে। বিদ্যাসাগরের প্রতিকৃতি বসানোর খরচ শিক্ষা দফতরের তরফে দেওয়া হচ্ছে না। স্কুলগুলিকেই উদ্যোগী হয়ে সেই খরচ বহন করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে আবক্ষ মূর্তি বসানোর খরচ বহন করতে অনেক স্কুলই অপারগ।