Midnapore: ‘শিক্ষারত্ন’ মেদিনীপুরের শিক্ষক, পরিবেশ ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার স্বীকৃতি

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
‘শিক্ষারত্ন’ (Shiksharatna) পুরস্কারে ভূষিত হতে চলেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের (Midnapore) শিক্ষক। পরিবেশ ও সমাজের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতার স্বীকৃতি স্বরূপ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর (Kharagpur) গ্রামীণের বেনাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুমন রায় পাচ্ছেন এই সম্মান। শিক্ষক দিবসের দিন, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকারের তরফে তাঁকে ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মানে ভূষিত করা হবে। রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই আনন্দিত পশ্চিম মেদিনীপুরের শিক্ষানুরাগীরা৷

শিক্ষক দিবসের দিন রাজ্য সরকারের তরফে খড়গপুরের বেনাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুমন রায়কে ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মানে ভূষিত করা হবে। তাঁর শিক্ষকতা জীবন দীর্ঘদিনের। ১৪ বছর ধরে শিক্ষকতা করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের সাহসপুর ঘোষাল উচ্চ বিদ্যালয়ে। এরপর ১০ বছর আগে প্রধান শিক্ষক হিসেবে তিনি যোগদান করেন খড়গপুর ২নং ব্লকের বেনাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। সুমনবাবুর বাবাও ছিলেন প্রধান শিক্ষক। তাঁর আদর্শে শিক্ষিত শিক্ষক হিসাবে বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এলাকায় নানা সমাজসেবামূলক কাজ করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। তারই স্বীকৃতি স্বরূপ এই বছর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একমাত্র শিক্ষক হিসেবে ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মান পাচ্ছেন তিনি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এলাকায় নানা সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তিনি। করোনাকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাহায্যে বিশেষ তহবিল গড়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে আশেপাশের ১১টি গ্রামে থার্মোমিটার, মাস্ক, স্যানিটাইজার বিলি করেছিলেন সুমনবাবু। গত বছর বিদ্যালয়ের কন্যাশ্রী ক্লাবের ছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে বিদ্যাসাগরের স্মৃতিবিজড়িত বীরসিংহ থেকে মাটি সংগ্রহ করে, বিদ্যালয় সংলগ্ন ১১টি গ্রামে ‘বটবৃক্ষ’ রোপন করছেন এই প্রধান শিক্ষক৷ বাল্যবিবাহ রোধেও করেছেন সচেতনতামূলক প্রচার। শিক্ষারত্ন পুরস্কারের জন্য রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ দেওয়ার পাশাপাশি সমস্ত প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়টিতে আরও যত্নশীল হওয়ার আবেদন করেছেন বেনাপুরের প্রধান শিক্ষক।