Midnapore: বিশেষ সম্মানে সম্মাননা জানানো হল মেদিনীপুরের প্রধান শিক্ষিকাকে। এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ (Techno India Group) প্রদত্ত ‘দ্রোণাচার্য’ পুরস্কারে (Dronachariya Prize) ভূষিতা হলেন মেদিনীপুরের (Midnapore) বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষকতার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁকে এই ‘দ্রোণাচার্য’ সম্মান জ্ঞাপন করা হয়েছে।
রাজ্য তথা দেশে নারী শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রে বরাবরই অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছে মেদিনীপুর। শতাব্দী প্রাচীন সেই পরম্পরা আজও বিদ্যমান। মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল হোক, বা সর্বভারতীয় ও বিশ্ব দরবারের গবেষণা ক্ষেত্র, মেদিনীপুর সবসময়েই সমুজ্জ্বল। সেই মেদিনীপুর জেলায় নারী শিক্ষা প্রসারের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ বালিকা বিদ্যালয়। সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়কে শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এই বছর ‘দ্রোণাচার্য’ পুরস্কারে সম্মানিত করলো টেকনো গ্রুপ। সম্প্রতি কলকাতার সল্টলেকে অবস্থিত টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটির অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়ে হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন টেকনো ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর তথা উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত সচিব তাপস মুখোপাধ্যায়। এদিনের অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট জনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়, শিক্ষা অধিকর্তা চিণ্ময় সরকার, অভিনেতা আবীর চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। ছিলেন রাজ্যের আরও অন্যান্য বিশিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষিকারা।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, ২০১০ সালের এপ্রিল মাস থেকে বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে ১৯৯৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি অলিগঞ্জ ঋষি রাজনারায়ন বালিকা বিদ্যালয় ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে ধারাবাহিক ভাবে ভালো ফল করছে। ফলাফলে রাজ্যের প্রথম দশেও স্থান পেয়েছে বিদ্যালয়ের ছাত্রী। এছাড়াও বিভিন্ন সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও স্থান করে নিয়েছে বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। প্রধান শিক্ষিকার এই সম্মানলাভে আনন্দিত বিদ্যালয়ের ছাত্রী অভিভাবক সহ মেদিনীপুরবাসী।