Midnapore: নিত্য যন্ত্রণার অবসান কবে? তাঁতিগেড়িয়া নিয়ে অসহায় মেদিনীপুরবাসী

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

মেদিনীপুরবাসীর (Midnapore) যানযন্ত্রণা নিত্যদিনের! সৌজন্যে তাঁতিগেড়িয়া রেল ক্রসিং! মেদিনীপুর (Midnapore) শহরে প্রবেশের অন্যতম প্রধান রাস্তায় রেলগেটের কারণে যানজট খুবই স্বাভাবিক বিষয়। বছরের পর বছর ধরে সেই নিত্যযন্ত্রণাকে সঙ্গী করেই জীবন বহমান মেদিনীপুরবাসীর! কিন্তু এই নিত্য যন্ত্রণার অবসান কবে? উত্তর নেই কারও কাছে!

ঘটনার নাম তাঁতিগেড়িয়া রেল ক্রসিং! ঘটনাই বটে! কারণ রোজের ব্যস্ততায় এই রেলগেট মেদিনীপুরবাসীর কাছে বিভীষিকার নামান্তর! বিদ্যাসাগর ইউনিভার্সিটি যাওয়ার প্রধান রাস্তা হোক বা মেদিনীপুর সদর ব্লকের ক্ষয়রুল্লা, মুড়াকাঠা, সিজুয়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের মেদিনীপুর শহরে আসা, এই রেল গেট পার হয়েই। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা না করে এই ক্রসিং পার হওয়া এক প্রকার অসম্ভব৷ আর সকালের ব্যস্ততার সময়ে সেই অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে ওঠে। অথচ মেদিনীপুর শহরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠান, মেডিক্যাল কলেজ প্রভৃতি। শহরে চিকিৎসার জন্য আসতে গিয়ে রেলগেটে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার কারণে রোগী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। তাই তাঁতিগেড়িয়া রেল গেটে ওভারব্রিজ বা আন্ডার পাসের দাবি বহুদিনের, যা আজও বাস্তব হয়নি।

মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ অতীতে বহুবার তাঁতিগেড়িয়া রেল ক্রসিং নিয়ে উদ্যোগী হয়েছেন। এর জন্য বারংবার রেলের দ্বারস্থ হয়ে রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পরে জানা যায়, অবস্থানগত বিভিন্ন কারণের জন্য তাঁতিগেড়িয়ায় ওভারব্রিজ তৈরি কার্যত অসম্ভব। এরপরেই রেল ক্রসিং-এ আন্ডারপাস তৈরির ঘোষণা হয়। গত বছরের এপ্রিল মাসে খড়গপুরের ডিআরএম মেদিনীপুর স্টেশনে লিফটের উদ্বোধনে এসে জানিয়েছিলেন, তাঁতিগেড়িয়ায় রেল ক্রসিং-এ আন্ডারপাস তৈরি হতে চলেছে। সেই সঙ্গে বিষয়টি এখনও আলোচনাস্তরে আছে বলে জানিয়েছিলেন ঐ রেল আধিকারিক।

ইতিমধ্যে সেই বছরেই আগস্ট মাসে দিলীপ ঘোষ জানান, বাস্তবে আন্ডারপাস হতে চলেছে। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, অমৃত ভারত প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে মেদিনীপুর স্টেশন৷ বিশ্বমানের স্টেশনে পরিবর্তিত করা হবে রাজ্যের অন্যতম ব্যস্ত এই স্টেশনটিকে। সেই প্রকল্পেই তাঁতিগেড়িয়া ক্রসিংয়ে তৈরি হবে আন্ডারপাস৷ সে জন্য রেলের তরফে সার্ভে হয়েছে এবং শীঘ্রই কাজ শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন তৎকালীন বিজেপি সাংসদ। কিন্তু বাস্তব ঠিক বিপরীত। সেই ঘোষণার পর এক বছর সময়কাল অতিক্রান্ত হলেও, আন্ডারপাস তিমিরেই। আদতে কাজ কবে শুরু হবে উত্তর নেই কারও কাছে।

এই বিষয়ে বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ভাইস প্রেসিডেন্ট অরূপ দাস বলেন, “রেলগেটে বিকল্পের সত্যিই প্রয়োজন। রেলগেট বন্ধ থাকলে এলাকার মানুষ খুবই সমস্যায় পড়েন। আমাদের পূর্বতন সাংসদ দিলীপ ঘোষ এই বিষয়টির তদারকি করেছিলেন। রেলের তরফে প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। রেল মানবিকতার সাথে দেখছে। আশা করবো বর্তমান সাংসদ বিষয়টি দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে দেখবেন যাতে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়।” তাঁতিগেড়িয়া রেল ক্রসিং সমস্যার কথা মেনে নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, “তাঁতিগেড়িয়ায় ওভারব্রিজ বা আন্ডারপাসের ভীষণ প্রয়োজন। মেদিনীপুরের বিগত সাংসদ মুখে অনেককিছু বললেও মেদিনীপুরের জন্য কিছুই করেননি। আমাদের বর্তমান সাংসদ বিষয়টি নিয়ে সংসদে সরব হবেন। আমরাও ওভারব্রিজ বা আন্ডারপাসের জন্য স্মারকলিপি দেব।”