Midnapore: মেদিনীপুরের ছেলের জোড়া সাফল্য! তবুও কিসের আক্ষেপ প্রশিক্ষকের

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

মেদিনীপুরের (Midnapore) ছেলের জোড়া সাফল্য! পরপর দুইদিন দুই প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেল পশ্চিম মেদিনীপুরের (Midnapore) ভাদুতলা বিবেকানন্দ বিবেকানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র মেঘনাদ পূর্তি। প্রথমে ৭ আগস্ট কলকাতার সাই কমপ্লেক্সে আয়োজিত রাজ্যস্তরীয় জ্যাভলিন প্রতিযগিতায় অনূর্ধ্ব ২০ বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করে সোনা। তারপরের দিনই ৭২তম স্টেট অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪ (72nd State Athletics Championship 2024)-এ অনূর্ধ্ব ২০ বিভাগে তৃতীয় স্থান দখল করে ব্রোঞ্জ জিতেছে সে। যদিও তারপরেও মেদিনীপুরে পরিকাঠামোর অভাব নিয়ে আক্ষেপ ঝরে পড়েছে প্রশিক্ষক স্বদেশ রঞ্জন পানের গলায়৷

পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার মলিঘাটির বাসিন্দা তথা শালবনীর ভাদুতলা বিবেকানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র মেঘনাদ, গত মার্চে জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় জ্যাভলিন থ্রোয়িংয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছিল। তারপর ৭ আগস্ট জাতীয় জ্যাভলিন দিবসে কলকাতায় রাজ্য অ্যাথলেটিক্স অ্যাসোসিয়েশন (West Bengal State Athletics Association)-র উদ্যোগে আয়োজিত অনূর্ধ্ব ২০ বিভাগে জ্যাভলিন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান থেকে অধিকার করে সে। বিভিন্ন জেলার ১৭ জন প্রতিযোগীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৫৩.৬৮ মিটার থ্রো করে মেঘনাদ। পরের দিন বৃহস্পতিবার ৭২তম স্টেট অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে একই বিভাগে তৃতীয় হয়ে ব্রোঞ্জ জেতে সে। তার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত জেলার ক্রীড়া মহল। কিন্তু তারপরেও আক্ষেপ মেঘনাদের প্রশিক্ষকের গলায়।

মেদিনীপুর শহরের বিড়লামাঠে অবস্থিত VTFCCE ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নেয় মেঘনাদ ও তারই মতো অনেক অ্যাথলিট। মেঘনাদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ক্যাম্পের কর্ণধার তথা তার প্রশিক্ষক স্বদেশ রঞ্জন পান। ছাত্রকে নিজের গর্ব ব্যক্ত করেও যেন কিছুটা মৃয়মান দ্রোণাচার্য। মেদিনীপুর তথা জঙ্গলমহল জুড়ে প্রতিভার যে কমতি নেই। কিন্তু তাঁর হতাশা, অনেক সময়েই সেই সব প্রতিভা হারিয়ে যায়। এর জন্য তিনটি বিষয়কে দায়ী করেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গলমহলের অ্যাথলিটদের নিয়ে কাজ করা প্রশিক্ষকের উপলব্ধি, অ্যাথলেটিক্সের প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই জেলাস্তরে। দ্বিতীয়ত, অর্থনৈতিক কারণে অনেক অ্যাথলিটই একটা সময়ের পর খেলা ছেড়ে দেন। কারণ এই খেলার সঙ্গে পর্যাপ্ত খাদ্য, পুষ্টি ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণের সরঞ্জাম লাগে৷ তৃতীয়ত, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ।

অনেক বাবা মা ছেলেমেয়ের মধ্যে প্রতিভা থাকলেও চান না তারা অ্যাথলেটিক্সের জগতে আসুক। তার কারণ অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। রাজ্য ও জেলা স্তরে অ্যাথলেটিক্স নিয়ে পর্যাপ্ত ও সঠিক পরিকাঠামো না থাকায় অনেক অ্যাথলিটই একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রমের পর থমকে যান। অনেক সময় চোটের কারণে কেরিয়ারও নিলম্বিত হয়ে পড়ে। অর্থনৈতিক নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিয়ে তাই অনেক অভিভাবকই ছেলেমেয়েদের অ্যাথলেটিক্স থেকে দূরে রাখতে চান। সম্প্রতি নীরজ চোপড়া প্যারিস অলিম্পিক্সে জ্যাভলিন থ্রোয়ে রূপো জিতেছেন। গতবারের অলিম্পিকে সোনা জিতেছিলেন তিনি। এই জয় তরুন প্রতিভাদের উৎসাহিত করলেও সঠিক পরিকাঠামো না থাকলে তাদের বিকাশ হবে না বলেই অভিমত অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের।