Midnapore: সাপের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে মেদিনীপুরবাসীর, বন্যার মাঝেই ১৩০ জনকে ছোবল

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

Midnapore: কথায় আছে, মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। দীর্ঘ একটানা বৃষ্টির জেরে DVC-র ছাড়া জলে 18 সেপ্টেম্বর (বুধবার) থেকেই বানভাসী হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। ভয়ংকর বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে কোনও মতে জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন দুর্গতরা। তবে এরই মধ্যে ভয় ধরাচ্ছে বিষধর সাপের আক্রমণ। গত 8 দিনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় 130 জনেরও বেশি মানুষকে সাপে কামড়েছে(Snake bite 130 people)। তড়িঘড়ি প্রত্যেককেই স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও প্রশাসন সূত্রে খবর, বন্যার জল কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে জল কমলেও সাধারণ মানুষের ভয়ের কারণ এখন বিষধর সাপ।

বন্যা কবলিত পশ্চিম মেদিনীপুরে(Midnapore) সাপের আতঙ্ক!
সদ্য পাওয়া খবর অনুযায়ী, গোটা পশ্চিম মেদিনীপুরে একাধিক সাপের কামড়ে 130 জনেরও বেশি মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যার মধ্যে বন্যা কবলিত ঘাটালে সাপের কামড়ে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন 19 জন, খড়গপুর ও মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ মিলিয়ে সাপের কামড়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় 80 ছাড়িয়েছে। এছাড়াও বেলদা, ডেবরা সহ একাধিক গ্রামাঞ্চলে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে বিষধর সাপ। যদিও হাসপাতাল সূত্রে খবর, বর্তমানে সাপের কামড়ে ভর্তি হওয়া সমস্ত রোগীই সুস্থ আছেন। কাজেই মৃত্যুর খবর এখনও পর্যন্ত মেলেনি।

1000020742

অন্যদিকে, সাপের হাত থেকে বাঁচতে ঘাটাল সহ একাধিক জায়গায় শুরু হয়েছে ডায়ালিসিস প্রক্রিয়া। বন্যার জল কিছুটা কমতেই উঁচু জায়গায় ঠাঁই নিয়েছিল সাপেরা আর তাতেই ধরা দিতে হলো বন দফতরের হাতে। সূত্রের খবর, ঘাটালের দুই পরিবেশ কর্মী, মলয় ঘোষ ও জাহাঙ্গীর মণ্ডল এখনও পর্যন্ত একাধিক বিষধর সাপ উদ্ধার করেছেন। সেই কাজ এখনও অব্যাহত। তবে সাপ উদ্ধার করতে গিয়ে কামড়ের হাত থেকে রক্ষা পাননি তারাও। সব মিলিয়ে, প্রায় 200 টিরও বেশি বিষধর সাপকে অন্যত্র ছেড়ে আসা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সাপের আতঙ্কের মধ্যেই স্বস্তির খবর শুনিয়েছে প্রশাসন। ঘাটাল(Ghatal) SDO জানিয়েছেন, জল বিপদ সীমার অনেকটাই নিচে। উদ্ধারকারী টিম সর্বদাই নিজেদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। দুর্গতদের জন্য খোলা হয়েছে, একাধিক কমিউনিটি কিচেন। দিনের বেলায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন থাকলেও রাতে যাতে কোনও রকম বিদ্যুতের সমস্যা না হয় সেদিকেও নজর রয়েছে প্রশাসনের। একই সুর, জেলা শাসকের গলাতেও। কিন্তু বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও সাপের আতঙ্ক গ্রাস করেছে বানভাসী মানুষদের। পশ্চিম মেদিনীপুরের পাশাপাশি সাপের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে হুগলির একাধিক বন্যা কবলিত এলাকাবাসীর।