টিচার নাকি ‘চিটার’! মেদিনীপুরে (Midnapore) আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ খোদ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল মেদিনীপুরের (Midnapore) গুড়গুড়িপাল হাই স্কুল। তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ মেলার প্রধান শিক্ষক গৌতম ভৌমিকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ঐ শিক্ষকের তিনটি বেতনবৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) রদ করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) শিক্ষামহলে।
ঘটনার সূত্রপাত বছর দু’য়েক আগে। গুড়গুড়িপাল হাই স্কুলের উন্নয়নের জন্য ২০ লক্ষ টাকা এবং ল্যাবরেটরি তৈরির জন্য ১৩ লক্ষ টাকা তহবিলে আসে। সেই তহবিল খরচে গড়মিলের অভিযোগ ওঠে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক গৌতম ভৌমিকের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তোলেন অভিভাবক ও গ্রামবাসীদের একাংশ। আন্দোলন শুরু করেন তাঁরা। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলে পোস্টার লাগানো হয়। বিগত পরিচালন সমিতির বিরুদ্ধেও তহবিল তছরুপের অভিযোগ তোলা হয়। বর্তমান পরিচালন সমিতিও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনে। পরিচালন কমিটির সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই সিদ্ধান্ত নেওয়া ও আলোচনা ছাড়াই একাদশ শ্রেণির ভর্তির ফি দ্বিগুণ করে দেওয়া প্রভৃতি অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ দায়ের হয় বিডিও অফিস ও শিক্ষা দফতরে। এরপরেই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়। বিগত দুই বছর ধরে তদন্তের পরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রধান শিক্ষকের তিনটি বেতনবৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) রদ করে দিয়েছে।
এই শাস্তি নিয়ে নিজের হতাশা ব্যক্ত করেছেন গুড়গুড়িপাল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক গৌতম ভৌমিক। তিনি পাল্টা অভিযোগ এনেছেন বর্তমান স্কুল পরিচালন সমিতির বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, তহবিল নিজেদের হাতে নিয়ে ইচ্ছা মতো খরচ করতে চেয়েছিল পরিচালন সমিতি। তিনি তাতে বাধা দেওয়াতেই তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক৷