Midnapore Pollution: বন দফতরের জমি ছাইয়ের পাহাড়, তেল কারখানার দূষণে বিপর্যস্ত ভাদুতলার জনজীবন

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য
Midnapore Pollution: বন দফতরের জমি অবৈধ ভাবে দখল করে ফেলা হচ্ছে দূষণের (Pollution) ছাই! সেই ছাই জমে তৈরি হয়েছে ছাইয়ের পাহাড়! বাতাসে উড়ে বেড়াচ্ছে ছাই! যার জেরে হাঁফানি, চর্মরোগের মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Midnapore) শালবনী (Salboni) ব্লকের ভাদুতলা (Vadutala) ও সংলগ্ন নিশ্চিন্তপুর, কুতুরিয়া, ধান্যশোল এলাকার বাসিন্দাদের। দূষণ নিয়ে অভিযোগের আঙুল স্থানীয় জঙ্গলমহল এগ্রো অয়েল প্রাইভেট লিমিটেডের দিকে। কারখানার তরফে সঠিক ভাবা মেনে চলা হচ্ছে না দূষণ নিয়ন্ত্রণবিধি, এমনই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

মেদিনীপুর থেকে কিছু দূরেই শালবনী ব্লকের ভাদুতলা ও সংলগ্ন নিশ্চিন্তপুর, কুতুরিয়া, ধান্যশোল এলাকা। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জঙ্গলমহল এগ্রো অয়েল প্রাইভেট লিমিটেডের তেল কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে মানা হচ্ছে দূষণ সংক্রান্ত বিধি। কারখানার পাশেই বন দফতরের প্রায় ৫ থেকে ৭ বিঘা জমি অবৈধ ভাবে দখল করে ফেলা হচ্ছে কারখানার ছাই। কারখানার বর্জ্য ছাই নিয়ে যাওয়া হয় খোলা ট্রাক্টরে। সেই ছাই ছড়িয়ে পড়ছে জমি জঙ্গলে। প্রভাব পড়ছে জমির উর্বরতায়। বিষাক্ত ধোঁয়ায় বিষিয়ে যাচ্ছে বাতাস। তাঁদের বক্তব্য, এই বিষয়ে তাঁরা একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। অভিযোগ জানিয়েছেন ‘দিদিকে বলো’তে। কারখানার উদ্দেশ্যে কড়া নির্দেশিকাও জারি করেছিল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশিকা অগ্রাহ্য করে কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।

1000007530

শালবনীর ভাদুতলায় ছড়াচ্ছে দূষণ

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ মেনে নিয়েছেন শাসক দলের নেতারাও। শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ তথা রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ সিংহ জানিয়েছেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ অবৈধ ভাবে বর্জ্য ফেলছে বন দফতরের জায়গায়। তিনি বলেন, “আমি নিজে বারবার কারখানা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কারখানা কর্তৃপক্ষ জঙ্গলের জমি দখল করে নিচ্ছে। বন দপ্তর বারবার নিজেদের জমি সংরক্ষণ করার কথা জানাচ্ছে, যাতে গরীব মানুষরা নিজেরা চাষ করতে পারে। কিন্তু এই কারখানা কর্তৃপক্ষ জঙ্গলের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ ছড়াচ্ছে। বারবার কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে যখন কোনো সুরাহা হয়নি, তখন আমি পুরো বিষয়টি রাজ্য স্তরে উর্দ্ধতন নেতৃত্বকে জানিয়েছি।” অন্যদিকে ব্লকের তরফে ইতিমধ্যে বন দফতরের কাছে এই বিষয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। দেওয়া হয়েছে পদক্ষেপের আশ্বাস।