অবশেষে মেদিনীপুরের (Midnapore) মানরক্ষা করলেন মমতা! অখিল আপাতত যাচ্ছেন বনবাসে! পূর্ব মেদিনীপুরের (Midnapore) বিধায়ক অখিল গিরির (Akhil Giri) মন্ত্রিত্ব খোয়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে। মহিলা আধিকারিককে কুকথার ঘটনায় অনমনীয় থেকে কড়া ভাবে অখিল গিরির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দলের নির্দেশে রবিবারই মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন অখিল৷
শনিবার কাঁথির মহিলা বন আধিকারিককে প্রকাশ্যে হুমকি দেন তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী অখিল গিরি। তাঁর উদ্দেশ্যে ‘জানোয়ার’ ‘বেয়াদপ’ প্রভৃতি শব্দ ব্যবহার করেন মন্ত্রীমশাই। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি। বন দফতরের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ঘটনায় বিরুদ্ধে অসন্তুষ্টি ব্যক্ত করেন। নিজে কথা বলেন ঐ আধিকারিকের সঙ্গে। দলের তরফে বিবৃতি দিয়ে অখিলের বক্তব্যের বিরোধিতা করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সূত্রের খবর, দলের তরফে মন্ত্রী অখিল গিরির কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করার নির্দেশ যায়। রবিবার সকালে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী টেলিফোনে অখিলকে জানিয়ে দেন, মহিলা আধিকারিকের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। কিন্তু অখিল গিরি ঘটনার প্রেক্ষিতে ‘দুঃখপ্রকাশ’ করলেও ‘ক্ষমাপ্রার্থনা’ করেননি ঐ মহিলা আধিকারিকের কাছে। এমনকি ঘটনার জন্য আধিকারিকেই দায়ী করেন। এরপরেই দলের তরফে অখিলকে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, তিনি পদত্যাগ না করলে বরখাস্ত করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। রবিবার অখিল গিরি ইস্তফা দিচ্ছেন বলে জনিয়েছেন। কিন্তু সেই সঙ্গে তিনি কারও কাছে ক্ষমা চাইবেন না বলেও জানিয়েছেন সদ্য প্রাক্তন মন্ত্রী।
ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য জুড়ে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। বিরোধীরা তীব্র আক্রমণ করছিলেন রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসকে। একই সঙ্গে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছিল রাজ্যের প্রশাসনিক ও আধিকারিক মহলেও। রাজনৈতিক মহলের অভিমত অখিল গিরির বিরুদ্ধে অনমনীয় ভাবে এই পদক্ষেপ আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই নির্দেশ। এর ফলে রাজনৈতিক ভাবে বিরোধীদের মুখ যেমন বন্ধ হল, তেমনই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসাবেও আধিকারিকদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে দলীয় তরফে কড়া বার্তা গেল, নেতাকর্মীদের বিশৃঙ্খল আচরণ কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।