Midnapore Medical: অন্য রাজ্যে বাতিল স্যালাইন এই রাজ্যে চালু! প্রসূতি মৃত্যুর কারণ খুঁজছে মেদিনীপুর মেডিকেল

Published On:

চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য
Midnapore Medical: অন্য রাজ্যের গুণমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়নি, অথচ এই রাজ্যে তা চলছে রমরমিয়ে! মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে (Midnapore Medical College) প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে এমনই এক স্যালাইন ‘রিঙ্গার ল্যাক্টেট’কে নিয়ে। অভিযোগ, উক্ত স্যালাইনটি বেঙ্গালুরুতে গুণমান নির্ধারণের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়নি, অথচ মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ (Midnapore Medical College) সহ এই রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে ব্যবহার করা হচ্ছিল। অভিযোগ ওঠার পরেই নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য ভবন।

মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বুধবার সিজারের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৫ জন সিজার রোগিনী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের মেডিকেল কলেজের সিসিইউ বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়। ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয় ৩ জনকে। কিন্তু শুক্রবার সকালে মামণি রুইদাস (২৪) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। বুধবার এক পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। রোগিনীর পরিজনদের অভিযোগ, ভুল বা মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার ফলেই রোগিনীরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার ফলেই মৃত্যু৷ ঘটনার প্রেক্ষিতে উত্তেজনা তৈরি হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল চত্ত্বরে। মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী।

এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে ‘রিঙ্গার ল্যাক্টেট’ নামক স্যালাইনের বিরুদ্ধে। সরব হয়েছে সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম। অভিযোগ, মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে ব্যবহার করা স্যালাইন রিঙ্গার ল্যাক্টেট সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে গুণমান নির্ধারণের পরীক্ষায় ফেল করেছে। কিন্তু সেই স্যালাইনই পশ্চিমবঙ্গে রমরমিয়ে চলছে। আরও অভিযোগ, এই রাজ্যে ঔষধের গুণমান পরীক্ষার ল্যাবরেটরির সংখ্যা কম হওয়ায়, অন্য জায়গা থেকে গুণমান পরীক্ষার ফলাফল আসার আগেই ঔষধ ব্যবহৃত হচ্ছে। অভিযোগের আঙুল উঠেছে এক শ্রেণির অসাধু ঔষধ ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের একাংশের বিরুদ্ধেও।

অন্যদিকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য ভবন। শুক্রবারেই মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে এসেছিল ড্রাগ কন্ট্রোলের টিম। শনিবার স্বাস্থ্য ভবনের প্রতিনিধিরা আসতে চলেছেন। ঘটনার তদন্তে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফেও চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি হয়েছে তদন্ত কমিটি।