চিকিৎসকশূন্য মেদিনীপুর (Midnapore) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। বিপাকে রোগীরা। মেদিনীপুরে (Midnapore) দূর থেকে আসা সংকটজনক রোগীদেরও ফিরে যেতে হচ্ছে জেলার অন্যান্য সরকারি হাসপাতাল, বেসরকারি হাসপাতালে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ট্রেনি ডাক্তারের উপর ঘটে যাওয়া নৃশংসতা, আজ ভয়াল রূপ নিয়েছে গোটা দেশে। অভয়ার মর্মান্তিক মৃত্যুর বিচার চায় দেশ। মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণের জবাব দিতে বিচার চাইতে, এবার সরব মেদিনীপুর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজও।
এই নারকীয় ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন আরও তীব্রতর হয়ে উঠেছে আজ সোমবার থেকেই। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে দুপুর ২ টো থেকে ইমারজেন্সি ও নন ইমারজেন্সি পরিষেবা দেওয়া বন্ধ করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা মনে করেন ইমারজেন্সি পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসন ভাবুক, কীভাবে দেবে। কিন্তু কোনো জুনিয়র ডাক্তার তাতে অংশগ্রহণ করবেন না।
এতদিন জরুরি বিভাগ বাদে বাকি বিভাগে ডাক্তাররা কর্মবিরতি ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সোমবার দুপুর থেকে আরও করুণ অবস্থা। সোমবার দুপুর ২টো থেকে এমারজেন্সি বা জরুরী পরিষেবা থেকেও সরে এলেন ডাক্তারদের পাশাপাশি সকল হাউসস্টাফ এবং ইন্টার্নরাও। দাবি একটাই, যতক্ষণ না ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করা হচ্ছে। যতক্ষণ না তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে। যতক্ষণ না ন্যায়বিচার মিলছে। ততক্ষণ অবধি কোনও চিকিৎসা পরিষেবা দেবেন না ডাক্তাররা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে, এদিন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ মোসুমী নন্দী, সুপার জয়ন্ত রাউত সহ সিনিয়র চিকিৎসকেরা বৈঠক করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে সিনিয়র চিকিৎসকদের দিয়েই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কথা ভাবছেন তাঁরা। কিন্তু এই আশ্বাস কতটা কার্যকর হবে কেউই জানেন না। এই মুহূর্তে, অভয়ার মৃত্যুর তদন্তে উঠে পড়ে লেগেছে রাজ্যও। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট দাবি, রবিবারের মধ্যে পুলিশ ঘটনায় তদন্ত করতে না পারলে, তদন্তের দায়ভার তুলে দেওয়া হবে সিবিআইয়ের হাতে। যদিও CBI-এর থেকে কলকাতা পুলিশেই বেশি আস্থা মুখ্যমন্ত্রীর।