মেদিনীপুরের (Midnapore) খড়গপুর বাসস্ট্যান্ডের দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থা। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Midnapore) খড়গপুর রেলওয়ে জংশন স্টেশন সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডের উন্নয়নের দাবি দীর্ঘদিনের। সেই সমস্ত দাবি নিয়ে ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য সোমবার ‘খড়গপুর বাসস্ট্যান্ড উন্নয়ন কমিটি’র পক্ষ থেকে খড়গপুর মহকুমা শাসকের কাছে পেশ করা হয় দাবিসম্বলিত স্মারকলিপি।
খড়গপুর রেলস্টেশন ভারতের অন্যতম ব্যস্ত রেলস্টেশন৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনে বহু মানুষ এই স্টেশনে আসেন। তারপর এখান থেকেই যাত্রা করেন পরবর্তী গন্তব্যে৷ সেই কারণে স্টেশন সংলগ্ন খড়গপুর বাসস্ট্যান্ডটিও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিম মেদিনীপুর ছাড়াও ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর সহ পাশ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার যাত্রীরা বাস ধরেন এখান থেকেই। কিন্তু সেই বাসস্ট্যান্ডটির বেহাল অবস্থা দীর্ঘদিন। সোমবার খড়গপুর বাসস্ট্যান্ড উন্নয়ন কমিটি’র তরফে ৫ দফা দাবি নিয়ে কয়েক শত স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি সহ ডেপুটেশন দেওয়া হয় খড়গপুর মহকুমা শাসকের কাছে।
কমিটির তরফে জানানো দাবিগুলি-
১. বাস স্ট্যান্ডের মধ্যবর্তী উপযুক্ত কোন স্থানে যাত্রী স্বাচ্ছন্দের লক্ষ্যে বিভিন্ন সুবিধাযুক্ত যাত্রী-প্রতীক্ষালয় নির্মাণ করতে হবে।
২. প্রতীক্ষালয়ের ভিতর পর্যাপ্ত বসার জায়গা, আলো, পাখা এবং বাস চলাচলের সুস্পষ্ট টাইম টেবিল বোর্ড লাগাতে হবে।
৩. বাস স্ট্যান্ডে জায়গায় জায়গায় পানীয় জল এবং পরিচ্ছন্ন শৌচাগারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৪. খড়গপুরের উপর দিয়ে যাতায়াতকারী বিভিন্ন বাসকে খড়গপুর রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন কেন্দ্রীয় বাস স্ট্যান্ডে ঢোকা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৫. বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন স্থানে নেশার দ্রব্যের রমরমা বন্ধ করতে হবে।
এইদিন ডেপুটেশনে নেতৃত্ব দেন রঞ্জিত গুপ্ত, সুরঞ্জন মহাপাত্র, ভাস্কর পাতর, শম্ভু কুইলা, সেক জহ্নু, জামির খান, সৈয়দ ফরিদ, সেক তাহের আলি, সেক ইসাক, কায়া রাও প্রমুখরা। মহকুমা শাসক দাবিগুলির যৌক্তিকতা স্বীকার করে পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।