পশ্চিম মেদিনীপুর (Midnapore) জেলার হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে একাধিক পদক্ষেপ নিতে চলেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে এই সংক্রান্ত ভার্চুয়াল বৈঠক হয় মেদিনীপুরে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী সহ বিভিন্ন হাসপাতালের সুপার ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
আরজি কর কান্ডের প্রেক্ষিতে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্যের মেডিকেল কলেজ ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসক তথা স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সেই নির্দেশ মেনে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বৈঠকে সেই সংক্রান্ত একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলার হাসপাতালগুলির প্রবেশ পথ সহ বিভিন্ন জায়গাতে সিসিটিভি বসানো হবে, লাইটের সংখ্যা বৃদ্ধি কিরা হবে, হাসপাতালের প্রাচীর নির্মাণ বা সংস্কার করা হবে, শৌচাগারগুলির সংস্কার হবে। এছাড়াও মহিলা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিশেষ বিশ্রাম নেওয়ার ঘর, সুরক্ষিত শৌচাগার নির্মাণ করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হাসপাতালগুলিতে রক্ষীর সংখ্যাও বাড়ানো হবে। এই সমস্ত সংস্কারের জন্য জেলার হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে প্রয়োজনীয় ব্যয়-বরাদ্দের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে মঙ্গলবার৷ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, শীঘ্রই পিডবলুডি-র তরফে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির সংস্কারের বিষয়টি খতিয়ে দেখে সম্ভাব্য খরচের হিসাব দেওয়া হবে।
রাজ্যের প্রথম সারির মেডিকেল কলেজে ডিউটি রত অবস্থায় পিজি ট্রেনি চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় উত্তাল দেশ তথা রাজ্য। রাজ্যের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার বিকালে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি তুলে নিতে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু তা অগ্রাহ্য করে জুনিয়র চিকিৎসকরা একাধিক দাবিতে সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। সারারাত চলে সেই অবস্থান। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা দৃঢ় করতে উদ্যোগী হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।