চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
পশ্চিম মেদিনীপুরের (Midnapore) ঘাটালে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টি ও ডিভিসি-র ছাড়া জলের কারণে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Midnapore) ঘাটালের অনেক এলাকা জলের নীচে। তবে বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় ডিভিসি জল ছাড়া কমিয়েছে। তাই মেদিনীপুরের (Midnapore) বন্যা পরিস্থিতি খুব বেশি জটিল হয়ে ওঠেনি। নতুন করে পরিস্থিতির অবনতি না হলে বন্যার জল ধীরে ধীরে নামতে শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। একই মধ্যে ত্রাণ সহ অন্যান্য বিষয়ে আগে থেকেই সতর্ক হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর (Midnapore) জেলা প্রশাসন। মনসুকা এলাকায় শুরু হয়েছে বন্যায় চিকিৎসা পরিষেবা৷
দিন কয়েকের লাগাতার বৃষ্টির জেরে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার বেশ কিছু অংশ আগেই জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। সেই সঙ্গে ঘাটাল মহকুমায় জল যন্ত্রণা বাড়িয়েছে ডিভিসির ছাড়া জল। ঝুমি, শিলাবতী, রূপনারায়ণ নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পায়। একাধিক জায়গায় অস্থায়ী সেতু ভেঙেছে। ঝুমি নদীর ওপরে যে সমস্ত সেতু রয়েছে, তার মধ্যে ১২টি কাঠের সেতু জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। ঘাটাল মহকুমার মনসুকা ১,২ ও গড়প্রতাপপুর এলাকার প্রচুর মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। অনেক জায়গাতেই যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এখন নৌকা ও ডিঙি।
গত রবিবার, ৪ আগস্ট সকাল ৮ টায় বাঁকায় শিলাবতী নদীতে জলস্তরের উচ্চতা ছিল ১২.২০ মিটার। বন্দর ও রাণীচকে রূপনারায়ণ নদীর জলস্তর ছিল যথাক্রমে ৬.১১ মিটার ও ৪.৫৮ মিটার। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সোমবার রাত ৮ টা নাগাদ বাঁকায় শিলাবতী নদীতে জলস্তরের উচ্চতা ছিল ১১.৫১ মিটার, বন্দর ও রাণীচকে রূপনারায়ণ নদীর জলস্তর ছিল যথাক্রমে ৬.০৪ মিটার ও ৪.৪৮ মিটার। ঐদিন সকালে ৬টা নাগাদ উল্লিখিত বাঁকায় শিলাবতী নদীতে জলস্তরের উচ্চতা ছিল ১১.৬০ মিটার, বন্দর ও রাণীচকে রূপনারায়ণ নদীর জলস্তর ছিল যথাক্রমে ৬.০৫ মিটার ও ৪.৬৮ মিটার। তথ্য অনুযায়ী, রবিবারের পর থেকে ঘাটাল মহকুমা সংলগ্ন নদীগুলিতে জলস্তর বিশেষ বৃদ্ধি পায়নি। ফলে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসছে বন্যা পরিস্থিতি। সাধারণভাবে খুব নীচু এলাকাগুলি বন্যার কারণে প্রভাবিত হয়েছে৷
আরও পড়ুনঃ কোম্পানির ফোনে জেরবার! এবার মিলবে মুক্তি
যদিও বন্যা পরিস্থিতির শুরুতেই পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসন সক্রিয় হয়েছিল। রবিবার ঘাটাল মহকুমার একাধিক এলাকা পরিদর্শন করেন জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ঘাটালের মহকুমা শাসক ও অন্যান্য জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৈঠকও হয়। খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, বিভিন্ন ত্রাণ কেন্দ্রও চালু করা হয়েছে। ঘাটাল মহকুমায় বন্যা পরিস্থিতির জন্য আপৎকালীন কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।