Midnapore Durga Puja: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সেরা পুজোর সম্মান পেল মেদিনীপুরের রবীন্দ্রনগর সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজো। পুজোর ভাবনায় দুর্গাপূজার মন্ডপ, প্রতিমা শিল্পে যুক্ত শিল্পীদের জানানো হয়েছে সম্মান। রবীন্দ্রনগরের ৫৫-তম বর্ষে তাই তৈরি হয়েছে ‘উৎসর্গ’ মন্ডপ। রবীন্দ্রনগর ছাড়াও বিশ্ববাংলা শারদ সম্মানে পশ্চিম মেদিনীপুরের সেরা পুজোর সম্মান পেয়েছে গড়বেতার ধাদিকা সর্বজনীন দুর্গোৎসব (যুবগোষ্ঠী) কমিটি, ঘাটালের সোনাখালী স্কুলপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব সংঘ এবং সবংয়ের তেমাথানি পল্লীশ্রী সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি।
দুর্গাপুজোয় প্রতিবছরই অনেক চেনা অচেনা মন্ডপশিল্পী, মৃৎশিল্পী সারা বাংলা জুড়ে নিজেদের শৈল্পিক কার্যে মুগ্ধ করেন আমাদের। মেদিনীপুরের রবীন্দ্রনগর সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি এবারের পুজো এবার তাঁদের প্রতি উৎসর্গীকৃত। মন্ডপ তৈরি হয়েছে শিল্পী প্রশান্ত খাটুয়ার ভাবনায় ও সৃজনে৷ মণ্ডপের ভেতরের কারুকার্যে ও ভিজুয়ালে বিভিন্ন শিল্পীদের অভিনব কার্যগুলি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মন্ডপের বাইরের অংশ সেজেছে ভারতের বিভিন্ন লোকসংস্কৃতির প্রকাশে। মণ্ডপ সজ্জায় ব্যবহার করা হয়েছে টিন, বাঁশ, কাপড়, কাঁচ, কার্ড বোর্ড প্রভৃতি।
আরও পড়ুনঃ Midnapore Puja 2024: লালমাটির ঘোড়ায় চড়ে মণ্ডপে অতীতের গল্পরা, ডেবরার লোয়াদায় এক টুকরো ইতিহাস
অন্যদিকের গড়বেতার ধাদিকা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি বদ্রীনাথ, দ্বারকা, পুরী ও রামেশ্বরম- এই ‘চারধাম’কে ফুটিয়ে তুলেছে নিজেদের মণ্ডপে। সবংয়ের তেমাথানি পল্লীশ্রী সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির পুজোয় শিল্পী সমীরণ খুটিয়া ফুটিয়ে তুলেছেন বাংলার বিভিন্ন কারুশিল্পকে। জেলা প্রশাসন তথা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের তরফে বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববাংলা শারদ সম্মানের মাধ্যমে সেরা পুজো, সেরা মণ্ডপ, সেরা প্রতিমা এবং সেরা সমাজসচেতনতা বিভাগে মোট ১৩টি পুজো কমিটিকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।