চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য
Midnapore: মেদিনীপুর শহর তথা বিধানসভা ক্ষেত্র জুড়ে নেওয়া হতে চলেছে একাধিক উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ। ৯টি অঞ্চল, ১৪৬ টি বুথে জেলা পরিষদের (Paschim Midnapore Zilla Parishad) তরফে নেওয়া হবে উদ্যোগ। ৬০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হবে মেদিনীপুর শহরের (Midnapore) উন্নয়নের জন্য। সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন মেদিনীপুরের নব নির্বাচিত বিধায়ক সুজয় হাজরা (Sujoy Hazra)।
বিধায়ক জানিয়েছেন, জেলা পরিষদের তরফে উন্নয়নের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে পিছিয়ে পড়া এলাকার সাধারণ মানুষের উপকারের বিষয়টি। মেদিনীপুর শহরের নজরগঞ্জের মন্ডল মাঠে দুর্গা পূজার সহ খেলাধুলা হয়। এলাকায় বিশেষ ঘরবাড়ি নেই। অভিযোগ, সন্ধ্যার পর থেকে এলাকাটি সমাজ বিরোধীদের আখড়া হয়ে ওঠে। তাই এলাকার মানুষের দাবি অনুযায়ী মন্ডল মাঠে চারটি আলো লাগানো হবে। উন্নয়নের জন্য মেদিনীপুর বিধানসভার সরকারি দপ্তরগুলি সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন বিধায়ক। বিধানসভা এলাকায় জলের সমস্যার সমাধানের জন্য “জল জীবিকা মিশন” প্রকল্প দ্রুত শেষ করা কথা বলেছেন বিধায়ক। জলের সমস্যার সমাধানে ইতিমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের তরফে ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে কাজ শুরু হয়েছে। ৯ টি নতুন রাস্তার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মেদিনীপুর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন পার্ক তৈরির দাবি খতিয়ে দেখতে সার্ভে হবে বলেও জানিয়েছেন বিধায়ক।
অন্যদিকে মেদিনীপুর শহরের নিকাশি ব্যবস্থা ও যানজট পরিস্থিতি সমাধানেও উদ্যোগ নেওয়া হতে চলেছে। বিধায়ক বলেন, “মেদিনীপুর শহরের দ্বারীবাঁধ খাল সহ প্রত্যেকটা বড় খালের ওপর বেআইনি দখলদারি আছে। ড্রেনের ওপর বেআইনি প্রচুর দোকান, ক্লাব বসে গেছে। সার্বিক ভাবে আমরা যদি পুরো ড্রেনেজ সিস্টেমটা ঠিকঠাক ভাবে গড়ে তুলতে পারি, ভবিষ্যতে মেদিনীপুরে সমস্যা মিটে যাবে। ড্রেনেজ সিস্টেম যদি আমরা ঠিকঠাক না করতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতে মেদিনীপুর শহরের জন্য পরিস্থিতি খারাপ হবে। মেদিনীপুর শহরের মূল খাল দ্বারীবাঁধ খাল। এই খালের জন্য ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী দেড় কোটি টাকা দিয়েছেন।” সঠিক পরিকল্পনা করে ড্রেনেজ সিস্টেম গড়ে তোলার পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণ ও নজরদারিতে জোর দেওয়ার কথা বলেছেন বিধায়ক।
মেদিনীপুর খড়গপুর ডেভলপমেন্ট অথরিটির (MKDA) তত্ত্বাবধানে মেদিনীপুর শহরের তিনটি রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিধায়ক সুজয় হাজরা। তিনি আরও জানান, MKDA এর চেয়ারম্যান দিনেন রায় ১৫ কোটি টাকা অনুমোদন করিয়েছেন মেদিনীপুরের জন্য। ডিএভি স্কুল থেকে স্পিনিং মিলের রাস্তার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও মেদিনীপুর শহরের অরবিন্দ নগর, জজকোর্ট, কেরানী চটি, সিপাইবাজার, ধর্মা, মির্জাবাজার, হোসনাবাদ, মীরবাজার সহ একাধিক এলাকায় রাস্তাঘাট ও ড্রেনের কাজ চলছে।