Midnapore: ডেঙ্গির প্রকোপ মেদিনীপুরে, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, সক্রিয় পুরসভা

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
মেদিনীপুরে (Midnapore) প্রকোপ বাড়ছে ডেঙ্গির। বর্ষার সঙ্গে মেদিনীপুরে (Midnapore) ডেঙ্গির আগমন প্রতি বছরের মতোই। ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুর (Midnapore) জেলায় সক্রিয় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ জন, যার মধ্যে মেদিনীপুর শহরে ৬ জন। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে কোমর বাঁধছে মেদিনীপুর (Midnapore) পৌরসভা। তারই প্রস্তুতি স্বরূপ সোমবার বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হল মেদিনীপুর (Midnapore) পৌরসভায়।

সোমবার মেদিনীপুর পুরসভার ডেঙ্গি বিষয়ক সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী, মেদিনীপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান সৌমেন খান সহ অন্যান্য আধিকারিক ও কাউন্সিলররা। সেমিনারে শহরে ক্রমবর্ধমান ডেঙ্গির সংক্রমণ ও তা ঠেকাতে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতি বছরই বর্ষার সঙ্গে মেদিনীপুরে আতঙ্ক তৈরি করে ডেঙ্গি। তাই এই বছর পুরসভার আগাম প্রস্তুতি। গত বছর আগস্ট মাস থেকে শুরু হয়ে সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গির প্রকোপ সর্বাধিক বৃদ্ধি পেয়েছিল। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় স্পর্শ করেছিল হাজারের গণ্ডি। শহরে একাধিক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুও হয়েছিল। এই বছর তাই বাড়তি সতর্ক পুরসভা।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানান, “ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ জন, যার মধ্যে মেদিনীপুর শহরে ৬ জন। তাঁদের একজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে।” তিনি আরও বলেন, “জেলাগত ভাবে ডেঙ্গি এখনও পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে আক্রান্ত বাড়তে শুরু করেছে। গতবছরের এই সময়ের মতোই এখনও ১% পজিটিভিটি রেট আছে। কিন্তু গতবারের তুলনায় প্রায় আড়াই গুণ বেশি কেস বের হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১০৫টি কেস জেলায় পাওয়া গেছে।” স্বাস্থ্য প্রস্তুতি সারছেন জানিয়েও সাধারণ মানুষজনকে সচেতন হওয়ার বার্তা দিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।

অন্যদিকে মেদিনীপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান সৌমেন খান জানান, “মেদিনীপুর শহরে ডেঙ্গি আক্রান্ত ৬ জনের বেশিরভাগই মেদিনীপুর শহরের উপকণ্ঠ রাঙ্গামাটি এলাকার বাসিন্দা। কিছুদিন আগেই শরীরে জ্বর নিয়ে ব্যাঙ্গালোর থেকে মেদিনীপুরে ফিরেছিলেন রাঙ্গামাটি এলাকার দুইজন এবং তাদের শরীর থেকেই রাঙ্গামাটি এলাকায় এই সংক্রমণ ছড়িয়েছে।”