চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
Midnapore Carnival: প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরেও মেদিনীপুরে (Midnapore) দুর্গাপূজার কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হল সোমবার সন্ধ্যায়৷ মেদিনীপুর পৌরসভা ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে গোলকুঁয়াচক – বটতলাচক রাস্তায় কার্নিভালের শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী, পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশংকর সারেঙ্গি, মহকুমাশাসক মধুমিতা মুখার্জী, রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া, মেদিনীপুরের সাংসদ জুন মালিয়া ও একাধিক বিধায়কেরা। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের যুব সভাপতি নির্মাল্য চক্রবর্তীও। কিন্তু তাঁরা উপস্থিত থাকলেও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে অনুপস্থিত ছিলেন, পশ্চিম মেদিনীপুর তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা৷
আরও পড়ুনঃ Midnapore Puja Carnival: মাতৃশক্তির বন্দনায় মেদিনীপুরে পুজো কার্নিভাল, মুগ্ধ মেদিনীপুরবাসী
মেদিনীপুর পুজো কার্নিভালের মঞ্চের চিত্র
এই প্রসঙ্গে জেলার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ধারণা, এই অনুপস্থিতি আসলে পশ্চিম মেদিনীপুরে শাসক দলের আভ্যন্তরীণ রাজনীতির ফলাফল। মেদিনীপুরের রাজনৈতিক মহলে জল্পনা রয়েছে, শাসক দলের সাংসদ জুন মালিয়া ও জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার সম্পর্ক ঠিক মধুর নয়। এর আগে মেদিনীপুর ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে এসেছিল তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ মতবিরোধ। নির্বাচনে তৃণমূলের তরফেই দুটি প্যানেল দাখিল হয়েছিল। নির্বাচনের মাধ্যমে বোর্ড গঠনের পরে, সিএবি-তে মেদিনীপুর ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধি তৎকালীন বিধায়িকা জুন মালিয়া অপসারিত হন। নতুন প্রতিনিধি হিসাবে সুজয় হাজরা মনোনীত হন। অনেকেরই ধারণা সেই দ্বন্দ্বের প্রতিফলন সোমবারের ঘটনা।
কালীঘাটে সুজয় হাজরা
যদিও মেদিনীপুরের দুর্গাপূজার কার্নিভালে সুজয় হাজরার অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা চললেও নিজের অনুপস্থিতির কারণ খোলসা করেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, তিনি একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী। কিন্তু পুজোর কার্নিভাল অনুষ্ঠানটি ছিল রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দফতরের সরকারি অনুষ্ঠান। তাই তিনি সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেননি। তিনি আরও জানিয়েছেন, ঐদিন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে তিনি বিজয়ার প্রণাম করে আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলেন। সুজয় হাজরা বলেন, “প্রথমতঃ আমি সরকারি অনুষ্ঠানে কোনওদিনই যাই না। দ্বিতীয়তঃ কালকে আমরা গিয়েছিলাম কালিঘাটে দিদির কাছে আশীর্বাদ নিতে। বিজয়ায় দিদিকে প্রণাম জানিয়ে তাঁর আশীর্বাদ নেওয়া আমার কাছে অনেক বড়।”