Mandarmani: মন্দারমণিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতার হস্তক্ষেপ, আটকে গেল বেআইনি হোটেল ভাঙা

Published On:

Mandarmani: মন্দারমণি (Mandarmani) এবং সংলগ্ন এলাকার সৈকতে বেআইনি হোটেল ভাঙার নির্দেশে হস্তক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। আপাতত স্থগিত সেই নির্দেশ। অভিযোগ, নবান্নকে কার্যত অন্ধকারে রেখেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন (Purba Midnapore) জারি করেছে এই নির্দেশ। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দীর্ঘদিন ধরে মন্দারমণির সমুদ্র সৈকত জুড়ে গড়ে উঠেছে অজস্র হোটেল, হোম স্টে, লজ। অভিযোগ, সেগুলি অধিকাংশই উপকূলীয় আইন না মেনে তৈরি হয়েছে। জাতীয় পরিবেশ আদালত ২০২২ সালে ঐ বেআইনি হোটেলগুলি ভাঙার নির্দেশ দেয়। তা মেনে গত ১১ নভেম্বর কোস্টাল রেগুলেটেড জোন ম্যানেজমেন্ট অথরিটি মন্দারমণি এবং আরও চারটি মৌজায় ১৪০টি হোটেল, হোম স্টে, লজ ভাঙার নির্দেশ জারি করে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে সেই নির্দেশ কার্যকর করতে নির্দেশ দেন। তালিকায় ছিল দাদনপাত্রবাড়ে ৫০টি, সোনামুইয়ে ৩৬টি, সিলামপুরে ২৭টি, মন্দারমণিতে ৩০টি হোটেল এবং দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর মৌজায় একটি লজ। কিন্তু সেই নির্দেশে হস্তক্ষেপ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ফলে আপাতত স্থগিত বেআইনি হোটেল ভাঙার নির্দেশ।

সূত্রের খবর, জেলা প্রশাসনের হোটেল ভাঙার নির্দেশে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, মুখ্যসচিবের সঙ্গে কোনও আলোচনা বা পরামর্শ ছাড়াই এই নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। অভিযোগ, এই জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ কার্যকর করার আগে নবান্নকে জানানো হয়নি কেন! যদিও আদালতের নির্দেশে পদক্ষেপ নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। সেক্ষেত্রে প্রশাসনের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।