নিসর্গ নির্যাস মাহাতো: অবিভক্ত মেদিনীপুরের (Midnapore) প্রাচীন সর্বজনীন দুর্গোৎসবের নাম বললেই উঠে আসে মেদিনীপুর শহরের কর্নেলগোলা আদি সর্বজনীন দুর্গোৎসবের কথা। সেই পুজো প্রাঙ্গণেই হঠাৎ হাজির হলেন সাংবাদিক ও লেখক কুণাল ঘোষ। পরিদর্শন করলেন কর্ণগড়ের রানি শিরোমণি গড়-ও।
বিশেষ কাজে শনিবার মেদিনীপুরে এসেছিলেন কুণাল। তারপরেই ফোন করেন আইনজীবী তীর্থঙ্কর ভগতকে। চলে এসেছিলেন পুজো প্রাঙ্গণে। উল্লেখ্য, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আয়োজিত এই পুজোর বর্তমান সম্পাদক তীর্থঙ্কর। কুণাল ও তীর্থঙ্করের সুসম্পর্ক দীর্ঘ বছরের।
এদিন দুপুরে মেদিনীপুরের এই পুজো প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন কুণাল। পুজোর ইতিহাস নিয়ে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয় তীর্থঙ্করের। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর সৌরভ বসু। পুজো কমিটি সূত্রে খবর, এবারের কাঠামো পুজো বা পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কুণাল। তাঁকে আগেই এই উপলক্ষ্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল পুজো উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুনঃ মেদিনীপুর মেডিক্যালে ডাক্তারদের কর্মবিরতি, ফাঁসি চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিন কর্ণগড় মহামায়া মন্দির ও রানি শিরোমণি গড় পরিদর্শন করেন তিনি। কথা বলেন মন্দিরের সেবাইত ও স্থানীয়দের সঙ্গে। উল্লেখ্য, শিরোমণি গড়ের ধ্বংসস্তূপগুলি সংস্কার, সংরক্ষণ ও হেরিটেজ মর্যাদার জন্য সরব হয়েছিল ভালোবাসি কর্ণগড়, হেরিটেজ জার্নি ও রানি শিরোমণি ঐক্য মঞ্চ। কুণালের সঙ্গে এদিন উপস্থিত ছিলেন তীর্থঙ্কর। প্রসঙ্গত, তীর্থঙ্করের দীর্ঘদিনের আবেদন, পাঠ্য পুস্তকে অধ্যায় হিসেবে স্থান পাক রানি শিরোমণি। সূত্রের খবর, কুণাল এদিন তীর্থঙ্করকে জানিয়েছেন, এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকারের আবারও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, রানি শিরোমণি নিয়ে গবেষণা করেছিলেন তীর্থঙ্কর। বিষয়টি তিনি নজরে এনেছিলেন কুণালের। সংবাদমাধ্যমে এই বিষয়ে প্রথম গুরুত্ব সহকারে লেখালেখি করেছিলেন কুণাল।