Kharagpur IIT: পৃথিবীকে উষ্ণায়ন থেকে বাঁচাতে পারে বনাঞ্চল, নতুন দিশা আইআইটি খড়গপুরের গবেষণায়

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য
Kharagpur IIT: পৃথিবীকে উষ্ণায়নের (Global Worming) হাত থেকে কী ফের রক্ষা করবে ক্রান্তীয় বনাঞ্চল! আইআইটি খড়গপুর (Kharagpur IIT) ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) গবেষণা লব্ধ ফলাফল সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে। কারণ আজ থেকে ৫ কোটি ৬০ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেন্ট্রিগেটের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছিল। সেই সময়েও পৃথিবীর বুকে বৃষ্টি নামিয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে এনেছিল ক্রান্তীয় চিরহরিৎ অরণ্য। সম্প্রতি গুজরাটের ভাস্তান কয়লাখনি এলাকায় গবেষণা চালিয়ে সেই রকম তথ্যই মিলেছে।

গুজরাটের ভাস্তার কয়লাখনি এলাকায় প্রাপ্ত জল ও ফসিলসের উপর গবেষণা চালিয়েছেন গবেষকদের দল। দেখা গিয়েছে, আজ থেকে প্রায় ৫ কোটি ৬০ লক্ষ বছর আগে ঐ এলাকা ক্রান্তীয় চিরহরিৎ অরণ্য পরিবেষ্টিত ছিল। হিমালয় পর্বতমালা তখনও গঠিত হয়নি। ভারতীয় উপমহাদেশ ছিল সমুদ্রবেষ্টিত ক্রান্তীয় অরণ্যদ্বীপ। সেই সময়ে পৃথিবীর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রিরও বেশি বৃদ্ধি পায়। বাতাসে কার্বনের পরিমাণ হয়ে ওঠে বর্তমানের দ্বিগুণ। স্বাভাবিক নিয়মে সেই প্রাকৃতিক পরিবেশে গাছের সালোকসংশ্লেষ করার ক্ষমতা বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু প্রাপ্ত বিভিন্ন ফসিলস পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে সেই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অভিযোজন ঘটে গাছপালার। উদ্ভব হয় বিভিন্ন নতুন প্রজাতির গাছের। তারপর সেই ক্রান্তীয় চিরহরিৎ অরণ্য বৃষ্টি নামায়। ফলে হ্রাস পায় পৃথিবীর উষ্ণতা ও বাতাসে কার্বনের মাত্রা।

1000004424
1000004421

প্রাপ্ত বিভিন্ন ফসিলসের নমুনা

বর্তমান সময়ে উষ্ণায়ন এবং বাতাসে কার্বনের মাত্রার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পরিবেশবিদদের অন্যতম মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রকৃতিবিদরা আশঙ্কা করছেন, বাতাসে কার্বনের পরিমাণ ও পৃথিবীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে তা পৃথিবীকে জীবপ্রজাতির বসবাসের অযোগ্য গড়ে তুলতে পারে। সেই পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখাতে পারে খড়গপুর আইআইটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও ওয়েস্টার্ন অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলের এই গবেষণা। গবেষকদের দলে ছিলেন খড়গপুর আইআইটির অধ্যাপক অনিন্দ্য সরকার, শুভব্রত পাল, মেলিন্দা বেরা, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুবীর বেরা, আশুতোষ কলেজের অধ্যাপিকা অর্পিতা সামন্ত প্রমুখরা।