স্বপ্নীল মজুমদার: এক যুবক মত্ত অবস্থায় কুড়ুল দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করেছিল নিজের বৌদি ও প্রতিবেশী দুই কিশোরীকে। অভিযুক্ত যুবককে পিটিয়ে, কুপিয়ে মারল জনতা। বৃহস্পতিবার রাতে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঝাড়গ্রাম(Jhargram) জেলার জামবনি(Jamboni) থানার কেশরীপুর গ্রামে ঘটনা ঘটেছে। মৃতের নাম সনাতন হাঁসদা (৩২)। বাড়ি কেশরীপুরে।
গণপিটুনিতে জড়িত থাকার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় দুই কিশোরী সহ জখম তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Jhargram Medical Collage Hospital) ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ সনাতন মদ্যপ অবস্থায় তার দাদা নিমাই ও বৌদি মলিনা এবং ভাইপো-ভাইঝিদের ঘরের বাইরে থেকে শিকল তুলে দেয়। তারপর একটি কুড়ুল নিয়ে বেরিয়ে যায়। বাড়ির উল্টোদিকে প্রতিবেশী ঝুমা সিংয়ের বাড়িতে চড়াও হয় সে। বাঁশের দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে। ওই পরিবারের ১৬ ও ১৩ বছরের দুই কিশোরীকে কুপিয়ে মেরে ফেলার হমকি দিতে থাকে।
আরও পড়ুনঃ প্রতিবাদ করলেই খারাপ! কুণালের কটাক্ষের মুখে প্রতিবাদী অরিজিৎ সিং
তড়িঘড়ি পড়শিরা দরজার শিকল খুলে সনাতনের দাদা-বৌদিকে ডেকে আনেন। সানতনকে থামাতে যান তাঁর বৌদি মলিনা। কিন্তু সনাতন কুড়ুল দিয়ে বৌদির কানের পাশে এবং পায়ে আঘাত করে। মলিনা লুটিয়ে পড়েন। এর পর ঝুমার দুই নাবালিকা মেয়েকে কুড়ুল দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে সনাতন। দুই নাবালিকাকে বাঁচাতে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। সনাতনের হাত থেকে কুড়াল কেড়ে নিয়ে শুরু হয় গণধোলাই। সনাতনকে কুড়ুল দিয়ে কোপানোও হয়। ঘটনাস্থলেই সনাতনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে জামবনি(Jamboni) থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সনাতনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। গণপিটুনির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগেব গ্রামের আদিত্য দিগার নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়ে সনাতন খ্যাপাটে স্বভাবের ছিল। পাশাপাশি সে সারাদিন নেশা করত। সনাতনের মা লক্ষ্মী জানান, ছেলের মানসিক সমস্যা ছিল।