Jhargram: শিশু পাচার ঝাড়গ্রাম স্টেশনে, জিআরপি-র তৎপরতায় উদ্ধার শিশু, গ্রেপ্তার তিন

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

স্বপ্নীল মজুমদার

Jhargram station child trafficking GRP arrest: স্টেশন থেকে পাচার হয়ে যাওয়া নয় মাসের শিশুকন্যাকে উদ্ধারRescue the Child) করল ঝাড়গ্রাম জিআরপি থানার পুলিশ(Jhargram GRP Police Station)। অভিযোগ, শিশুটিকে চুরি করে বিক্রি করে দিয়েছিল মূল অভিযুক্ত। ওই ঘটনার মূল অভিযুক্ত সহ দুই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে রেল পুলিশ। রেল পুলিশ(Rail Police) সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতেরা হল ঝাড়গ্রামের(Jhargram) বেলিয়াবেড়ার সঞ্জয় খামরুই, পূর্ব মেদিনীপুরের(Purba Medinipur)পাঁশকুড়ার(Panskura) বাসিন্দা রেনুকা দাস এবং তার আত্মীয়া হাওড়া(Howrah) জেলার শ্যামপুর(Syampur) থানার সোমা রুইদাস।

ধৃতদের শুক্রবার ঝাড়গ্রাম আদালতে(Jhargram District Court) তোলা হলে তিন অভিযুক্তকে তিনদিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। শিশুটিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রাম রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুস্মিতা ভক্তা ও তার স্বামী জগবন্ধু ভক্তা নয় মাসের শিশু কন্যাকে নিয়ে ঝাড়গ্রাম স্টেশন চত্বরে থাকেন। জগবন্ধু স্টেশনের রোডে সবজি ব্যবসা করেন। সুস্মিতার সঙ্গে কিছুদিন আগে বেলিয়াবেড়ার বাসিন্দা সঞ্জয় খামরুইয়ের আলাপ হয়। ঘটনার ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে সুস্মিতা সঞ্জয়কে ভরসা করে শিশু কন্যাকে তার জিম্মায় রেখে স্নান করতে গিয়েছিলেন। তিনি স্নান করে ফিরে এসে শিশু কন্যা সহ সঞ্জয়কে দেখতে পাননি সুস্মিতা। এরপর তিনি দু’দিন ধরে অনেক খোঁজ খবর করেও শিশু কন্যাকে না পেয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর ঝাড়গ্রাম জিআরপি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। জিআরপি থানার ওসি সমরেশ জানা অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করেন। ঘটনার দিনের স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ(CCTV Photage) খতিয়ে দেখে পুলিশ প্রথমে শুক্রবার সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে। সঞ্জয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে শুক্রবার বাকি দুই অভিযুক্ত রেনুকা ও সোমাকে গ্রেফতার করা হয়। শিশুটিকে সোমার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।


খড়্গপুরের(Khargapur) রেল পুলিশ সুপার দেবশ্রী সান্যাল সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, শিশু চুরির ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত সঞ্জয়ের স্ত্রীও জড়িত কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ কিভাবে ধরা পড়ল অভিযুক্তরা? রেল পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার দিন সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় অভিযুক্ত যুবকটি শিশু কন্যাটিকে কোলে নিয়ে অপর এক মহিলার সঙ্গে স্টেশন থেকে বেরিয়ে যায়। জিআরপির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সাহায্যে শহর এবং বাসস্ট্যান্ড এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। সেখানে দেখা যায় সঞ্জয় এবং ওই মহিলা বাসস্ট্যান্ডে প্রথমে একটি বাসে ওঠার চেষ্টা করে। কিন্তু বাসে না উঠে তারা একটি মারুতি(Maruti) গাড়িতে ওঠে। জিআরপি পুলিশ ওই মারুতি গাড়িটিককে সনাক্ত করে এবং চালককে জেরা করে সঞ্জয়ের ঠিকানা পায়। চালকের দেওয়া সেই ঠিকানা নিয়ে বেলিয়াবেড়া গিয়ে রেল পুলিশের লোকজন জানতে পারে সঞ্জয় কিছুদিন আগেই জেল থেকে বেরিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ আজ ২১শে সেপ্টেম্বর কলকাতা সহ জঙ্গলমহলের তেলের দাম দেখে নিন

গরু চুরির অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। সঞ্জয়ের স্ত্রী অন্ধ। সে পাঁশকুড়া সহ বিভিন্ন স্টেশনে ভিক্ষা করে। এরপর পুলিশ সঞ্জয়ের খোঁজে খড়্গপুর, গিরিময়দান স্টেশনে খোঁজ করা শুরু করে পুলিশ। সেখানে তার পরিচিত কিছু লোকজনের কাছ থেকে জানতে পারে সে পাঁশকুড়া, হাওড়ার দিকে প্রায়ই যাতায়াত করে। বিষয়টি জানার পরে পাঁশকুড়া এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে রেল পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি দুই অভিযুক্ত রেনুকা দাস ও সোমা রুইদাসকে ধরা হয় এবং শিশু কন্যাকে উদ্ধার করা হয়। রেনুকা পাঁশকুড়া স্টেশনে অস্থায়ী সাফাই কর্মী কাজ করে। রেণুকাই শিশুটির জন্য সঞ্জয়কে এক লক্ষ টাকার টোপ দিয়েছিল।