স্বপ্নীল মজুমদার (ঝাড়গ্রাম): বাইক চোর সন্দেহে এক নাবালিক কিশোরকে পুলিশ ফাঁড়িতে ডেকে এনে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল ওসির বিরুদ্ধে। ঝাড়গ্রাম (Jhargram) থানার অন্তর্গত মানিকপাড়া(Manikpara) পুলিশ ফাঁড়ির ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাসুয়া(Rasuya) গ্রামে।
ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সকালে ঘন্টা দু’য়েক ঝাড়গ্রাম-মানিকপাড়ার মাঝে রাসুয়া মোড়ে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয়রা। বিক্ষোভ মিছিলও হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মারধরে অসুস্থ কিশোরকে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Jhargram Medical Collage Hospital) ভর্তি করানো হয়। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে রাসুয়া গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়ির উঠোন থেকে মোটরবাইক চুরি যায়।
অভিযোগ পেয়ে মানিকপাড়া পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, প্রায়ই রাতে এলাকার একটি স্কুলের বারান্দায় স্থানীয় কিশোর ১৬ বছরের পলাশ মাহাতো ঘুমোয়। পুলিশের সন্দেহ হয় পলাশ চুরি চক্রে যুক্ত। বৃহস্পতিবার পলাশকে থানায় তলব করে জেরার নামে থার্ড ডিগ্রির মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে পলাশকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ে পলাশ।
আরও পড়ুনঃউদ্ধার হওয়া নাবালিকা ফের নিখোঁজ! উদ্ধার সাঁকরাইল থানার পুলিশের
শুক্রবার মানিকপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তার চিকিৎসা করানো হয়। পলাশ মানিকপাড়ার একটি হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র। পলাশকে পুলিশ মারধর করেছে জানাজানি হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। মানিকপাড়া ফাঁড়ির ওসি সিরজন হেমব্রমের অপসারণের দাবিতে পথ অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়।
আদিবাসী নেগাচারী কুড়মি (Kurmi) সমাজের নেতারাও বিক্ষোভে যোগ দেন। নেগাচারীদের হস্তক্ষেপে পলাশকে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়। মানিকপাড়া ফাঁড়ি কর্তৃপক্ষ মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আদিবাসী নেগাচারী কুড়মি সমাজের (Adivasi Negachari Kurmi Samaj) নেতা অনুপ মাহাতো বলেন, কোনও প্রমাণ ছাড়াই পলাশকে থার্ড ডিগ্রির অত্যাচার করেছে পুলিশ। রুল দিয়ে ক্রমাগত পায়ের তলায় মারা হয়েছে। অত্যাচারী ওসির শাস্তি ও অপসারণের দাবিতে আন্দোলন চলবে।
ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগ পেলে এসডিপিও (ঝাড়গ্রাম) অভিযোগের তদন্ত করবেন।