Jhargram Rajbari: সাধারণের প্রবেশ নিষেধ ঝাড়গ্রাম রাজবাড়িতে! সেই মর্মে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির (Jhargram Rajbari) ফটকে ঝোলানো হল নোটিশ। মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজবাড়ির। সেই সঙ্গে সামনে লাগানো বোর্ডে লেখা, “ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি ব্যক্তিগত সম্পত্তি, সর্বজনীন দর্শনীয় স্থান নয়।” ঝাড়গ্রাম জেলার (Jhargram) অন্যতম দর্শনীয় স্থান এই ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি। পর্যটন দফতর-সহ সরকারি বিভিন্ন ওয়েবসাইটেও তার উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ ব্যক্তিগত সম্পত্তি বলে উল্লেখ করে রাজবাড়িতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
কয়েকশো বছর আগে ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যভাগে গড় ঝাড়গ্রামের জংলি মাল রাজাকে দ্বন্দ্বযুদ্ধে হারিয়ে রাজ্যপাট দখল করেন রাজপুতানার সর্বেশ্বর সিং চৌহান। শুরু হয় দূর্গাপুজো। রাজা নরসিংহ মল্লদেবের আমলে ১৯৩০ সালে বর্তমান রাজবাড়ি তৈরি করেন। প্রফুল্ল ঘোষ, বিধানচন্দ্র রায় থেকে উত্তমকুমার প্রমুখ বহু খ্যাতনামা ব্যক্তি রাজবাড়িতে এসে থেকেছেন। এখন রাজবাড়িটির একটি অংশ হেরিটেজ হোটেল। রাজবাড়ির নিজস্ব অতিথিশালা ‘দ্য প্যালেস ঝাড়গ্রাম হেরিটেজ’-এ বুকিং করে অতিথিরা এসে থাকতে পারেন। রাজবাড়িটি পর্যটকদের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। সিংহদ্বার থেকে রাজবাড়ির একটি নির্দিষ্ট পরিসর পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারতেন তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে রাজবাড়ির ব্যক্তিগত পরিসরেও ঢুকে পড়েন অত্যুৎসাহী পর্যটকেরা৷ পুজোর সময় ড্রোন উড়িয়ে ছবি তোলার অভিযোগও উঠেছে। সেই সঙ্গে রাজবাড়ির পরিসর নোংরা করা, মদ্যপান করে হাঙ্গামা করা অভিযোগ তো রয়েইছে। এর আগেও রাজবাড়ি গেট বন্ধ করা হয়েছিল। পরে তা খুলে দেওয়া হয়। এবার ফের গেট বন্ধ হল।
রাজবাড়ির গেটে ঝোলানো নোটিশে বলা হয়েছে, “ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি একটি ব্যক্তিগত সম্পত্তি, সর্বজনীন দর্শনীয় স্থান নয়।” ফটকের সম্মুখে অযথা জমায়েত করতেও নিষেধ করে জানানো হয়েছে, “অনধিকার অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” রাজবাড়ি সদস্যদের অভিযোগ, মানুষজন ভিতরে ঢুকে রাজবাড়ি চত্বর নোংরা করছেন, রাজ পরিবারের ব্যক্তিগত এলাকায় ঢুকে পড়ছেন। এর ফলে গোপনীয়তা থাকছে না, বিদেশি পর্যটকেরা অতিথি নিবাসে থাকাকালীন অস্বস্তিবোধ করছেন। সেই জন্য এই নোটিশ।