স্বপ্নীল মজুমদার (ঝাড়গ্রাম): বাড়িওয়ালার আট বছরের নাবালিকা মেয়েকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে এক পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে ঝাড়গ্রাম(Jhargram) থানার পুলিশ। ধৃতের নাম নন্দকিশোর মাহাতো। বছর ছাপান্নোর নন্দকিশোর ঝাড়গ্রাম পুলিশ লাইনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর (এএসআই)(ASI) পদে কর্মরত।
শহরে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন তিনি। ওই বাড়ির মালকিন গত ২৪ জুলাই ঝাড়গ্রাম থানায় নন্দকিশোরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে জানান, ২৩ জুলাই রাতে তাঁর ৮ বছরের নাবালিকা মেয়ের শ্লীলতাহানি করে নন্দকিশোর। অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনের ১০ ও ১২ ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ।
এদিকে, শ্লীলতাহানির ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরই এলাকাবাসীর রোষের মুখে পড়েন নন্দকিশোর। স্থানীয় জনতার মারধর খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতাল মোড়(Jhargram Hospital More) থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে বুধবার ঝাড়গ্রাম পকসো আদালতে(Jhargram Pocso Court) তোলা হলে বিচারক তাকে সাতদিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুনঃ Midnapore: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নতুন রহস্য! তৈরি হচ্ছে চাঞ্চল্য
আগামী ৬ আগস্ট নন্দকিশোরকে ফের আদালতে হাজির করা হবে। অন্যদিকে, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৮৩ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নির্যাতিতা নাবালিকার গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করানো হয়। নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, তাঁর স্বামীর চাকরি করে দেওয়ার নাম করে নন্দকিশোর ২ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। কিন্তু চাকরির ব্যবস্থা করতে পারেনি। তারপরই তাঁদের ৮ বছরের নাবালিকার সঙ্গে বেশ কিছুদিন যাবৎ খারাপ আচরণ করছিল ওই পুলিশ কর্মী। ২৩ জুলাই নাবালিকা ঘটনাটি অভিভাবকদের জানালে বিষয়টি জানাজানি হয়।
অন্যদিকে, ওই পুলিশ কর্মীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের দাবি, বাড়িওয়ালার সঙ্গে নন্দকিশোরের দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই নন্দকিশোরের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। খোদ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তি শুরু হয়েছে পুলিশ মহলে। বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন পুলিশের আধিকারিকরা।