স্বপ্নীল মজুমদার: যেখানে পাঁচিল তৈরি হচ্ছে সেই জমিটি নাকি আদিবাসীদের শ্মশান। এমন অভিযোগ তুলে ঝাড়গ্রাম (Jhargram) শহরের বিদ্যাসাগর পল্লীর একাংশ আদিবাসী(Adibasi) শনিবার ঝাড়গ্রাম গর্ভমেন্ট মেডিক্যাল কলেজের (Jhargram Govt Medical Collage) পাঁচিল তৈরির কাজ বন্ধ করে দিলেন। শনিবার সকালে আদিবাসীরা মেডিক্যাল কলেজের যেখানে পাঁচিল তৈরি হচ্ছে সেখানে হাজির হন।
কর্মীদের হুমকি দয়ে তাঁরা জানান, বিতর্কিত জমিতে পাঁচিল করা যাবে না। এটি আদিবাসীদের পবিত্র জমি। এরপরই কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজ শুরুর আগে জেলা পুলিশ-প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল। বুধবার থেকে দশ জন পুলিশ কর্মীও কলেজ চত্বরে মোতায়েন ছিল। কিন্তু শনিবার পুলিশের উপস্থিতিতেই আদিবাসীরা হুমকি দিয়ে কাজ বন্ধ করিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন-পুলিশের কেউ আপাতত মন্তব্য করতে চাইছেন না। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, ২০২২ সালে যখন প্রথম অভিযোগ উঠেছিল, ওখানে আদিবাসীদের শ্মশান আছে, তাহলে কেন সেই জমিতে পাঁচিল দেওয়ার উদ্যোগ করা হল। জবাব মেলেনি। এখন ওই চত্বরে মেডিক্যাল কলেজ তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। দু’শো জন এমবিবিএস পড়ুয়া হস্টেলে থাকে। ছাত্রীনিবাসের দিকে পাঁচিল বন্ধ হওয়ায় কলেজ চত্বরটি কার্যত অরক্ষিত থাকবে।
আরও পড়ুনঃ ঝাড়গ্রামের শিক্ষারত্ন দুই প্রধান শিক্ষক, উচ্ছ্বাস শিক্ষানুরাগীদের
২০২২ সালেও আদিবাসীদের বিক্ষোভে নির্মাণ কাজ কয়েক মাস বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। শনিবার পাঁচিল তৈরির কাজ বন্ধ থাকলেও চত্বরে অন্যান্য ভবনগুলি তৈরির কাজ চলছে। এদিকে স্থানীয় আদিবাসীদের দাবি, তাঁদের পবিত্র জমিতে নির্মাণ কাজ করা যাবে না। জমিটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষা সুস্মিতা ভট্টাচার্য বলছেন, ‘‘স্বাস্থ্যভবনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেখান থেকে পরবর্তী নির্দেশ এলে সেই মত পদক্ষেপ করা হবে।’’