Jhargram: মেডিক্যাল কলেজের অক্সিজেন প্ল্যান্ট দু’মাস ধরে বিকল, চিকিৎসায় সমস্যা

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

স্বপ্নীল মজুমদার (ঝাড়গ্রাম): ঝাড়গ্রাম (Jhargram) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (Jhargram Medical Collage Hospital) সুপার স্পেশালিটি ভবনের অক্সিজেন প্লান্টটি (Oxygen Plant) প্রায় দু’মাস ধরে বিকল অবস্থায় রয়েছে। ফলে গত দু’মাস ধরে পুরনো পদ্ধতিতে রোগীদের টাইপ-বি সিলিন্ডার (Type-B O² Cylinder) থেকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় অপারেশন থিয়েটারে বিভিন্ন অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি বাড়ছে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বরাদ্দে (পিএম কেয়ার ফান্ড) প্রায় এক কোটি টাকা খরচ করে সুপার স্পেশালিটি ভবনের জন্য অক্সিজেন প্লান্টটি তৈরি হয়েছে। ২০২১ সালের ৭ জুন অক্সিজেন প্লান্টটি চালু হয়। এর ফলে ওই প্লান্টে অক্সিজেন উৎপাদন করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট চাপে ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। পাঁচতলা সুপার স্পেশালিটি ভবনের একতলায় রয়েছে জরুরি বিভাগ, তিন তলায় পুরুষ মেডিসিন বিভাগ, চার তলায় পুরুষ সার্জিক্যাল ও মহিলা সার্জিক্যাল বিভাগ। পাঁচ তলায় রয়েছে চারটি অপারেশন থিয়েটর। সেখানে সাধারণ, নাক-কান-গলা, চক্ষু ও অস্থিরোগের অস্ত্রোপচার হয়। কিন্তু গত প্রায় দু’মাস ধরে ওই ওয়ার্ড গুলিতে রোগীদের সিলিন্ডার থেকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। অস্ত্রোপচারের সময়ও অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন পাইপ লাইনের মাধ্যমে ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে একই নির্দিষ্ট চাপে সরবরাহ করা হয়। কোনও রোগীকে টাইপ-বি সিলিন্ডার থেকে অক্সিজেন দেওয়া হলে কয়েক ঘন্টার মধ্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার খালি হয়ে যায়। কিন্তু প্লান্টের পাইপ লাইনের অক্সিজেন নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে রোগীকে দেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে বার বার সিলিন্ডার পাল্টানোর প্রয়োজন হয় না। রোগীর সঠিক চিকিৎসার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে সরবরাহ করা অক্সিজেন অপরিহার্য। কিন্তু সিলিন্ডারে অক্সিজেনের পরিমাণ কমতে থাকলে অক্সিজেনের চাপেরও তারতম্য হয়, যা সঙ্কটজনক রোগীর ক্ষেত্রে বিপদ ডেকে আনতে পারে।

হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার গৌতমেশ্বর মজুমদার বলেন, ‘‘বিষয়টি স্বাস্থ্যভবনকে জানানো হয়েছে।’’ জানা গিয়েছে, ওই অক্সিজেন প্লান্টের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে একটি সংস্থা। ওই সংস্থার সঙ্গে বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি গত মার্চে শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন সেটি সারাতে বিপল খরচ হতে পারে। সেই কারণেই অক্সিজেন প্লান্ট সারানোয় গড়িমসির অভিযোগ উঠছে।