স্বপ্নীল মজুমদার (ঝাড়গ্রাম): ঝাড়গ্রামের (Jhargram) উদ্ধার হওয়া নাবালিকা ফের নিখোঁজ! আবার উদ্ধার করলো ঝাড়গ্রাম পুলিশ (Jhargram Police)। নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতারও করেছে সাঁকরাইল (Sankrail) থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঝাড়গ্রামের (Jhargram) কেশইয়াপাতা এলাকার।
শুক্রবার ভোরে কেশিয়াপাতা মোড় এলাকা থেকে অভিযুক্ত বছর বাইশের সুভাষ পালইকে গ্রেফতার করা হয়। সেখান থেকেই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। ধৃতের বাড়ি সাঁকরাইলের হাঁড়িভাঙা গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস ছ’য়েক আগে ওই নাবালিকাকে নিয়ে চম্পট দিয়েছিল সুভাষ। নাবালিকার বাবার অভিযোগ পেয়ে তল্লাশি চালিয়ে সেবার নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তবে সুভাষের হদিশ মেলেনি। পরে বিনপুরে দহিজুড়ির ঢেঙ্গাপাড়ায় মামার বাড়িতে নাবালিকাকে রেখে আসেন অভিভাবকরা।
এরপর গত ১৪ জুন দহিজুড়ির মামার বাড়ি থেকে নাবালিকাকে অভিযুক্ত সুভাষ ফুঁসলিয়ে অপহরণ করে বলে অভিযোগ। এরপর নাবালিকার বাবা বিনপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশের তরফে কোনও খবর না পেয়ে ঝাড়গ্রাম আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশপত্র এসে পৌঁছয় সাঁকরাইল থানায়। এরপরই নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তল্লাশি শুরু করে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। সুভাষ কেশইয়াপাতা এলাকায় ওই নাবালিকাকে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছে খবর পায় পুলিশ। এলাকায় পুলিশ পৌঁছতেই নাবালিকাকে নিয়ে পালানোর তোড়জোড় শুরু করে সুভাষ। কিন্তু নাবালিকা সমেত সে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়। ধৃতকে এদিনই ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।