Jhargram: কিষাণ বিকাশের টাকা দিচ্ছিল না ডাকঘর, জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষে অভিযোগ জানিয়ে সুরাহা

Last Updated:

সপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: ২০ বছর আগে ডাকঘরে কিষাণ বিকাশ পত্রের স্কিমে ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed deposit ) করেছিলেন ঝাড়গ্রাম(Jhargram) জেলার বেলিয়াবেড়া(Beliyabera) থানার রান্টুয়া(Rantua) গ্রামের চাষি সলিলকুমার পৈড়া। ম্যাচুরিটির কয়েক বছর পার হয়ে গেলেও তাঁকে প্রাপ্য টাকা দিচ্ছিল না ডাকঘর(Post Office) কর্তৃপক্ষ। অবশেষে ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুক্তি সরকারের কাছে অভিযোগ করার দু’মাসের মধ্যেই উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে সুদ-সহ মোটা অঙ্কের টাকা পাঠিয়ে দিল ডাকঘর কর্তৃপক্ষ।

২০০৫ সালের ২৫ জুন তপসিয়া(Tapsia) ডাকঘরে ১০ হাজার টাকার(10000rs) একটি কৃষাণ বিকাশ পত্র (Kisan Vikash Patra) কেনেন সলিল। ম্যাচুরিটির (Maturity) সময় পেরিয়ে গেলেও পোস্ট অফিস থেকে টাকা হাতে পাননি বলে অভিযোগ সলিলের। একাধিকবার তিনি তপসিয়া উপ ডাকঘরে যান। কিন্তু অভিযোগ, নানা বাহানায় তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হতো। শেষ পর্যন্ত ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুক্তি সরকারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন সলিলকুমার পৈড়া। অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারক একটি প্রি-লিটিগেশন মামলা রুজু করেন। তারপর তপসিয়া পোস্ট অফিস কর্তৃপক্ষ এবং সলিলকুমার পৈড়াকে নোটিশ দিয়ে আদালতে শুনানির জন্য ডেকে পাঠানো হয়। প্রথমবার শুনানির পর টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় ডাকঘর কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার আদালতে এসে সলিল কুমার পৈড়া জানান, সুদসহ প্রাপ্য মোট ২৮ হাজার ৮৭০ টাকা হাতে পেয়েছেন। তারপর মামলাটির নিষ্পত্তি করেন বিচারক। সলিলকুমার বলছেন, ‘‘জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়ে দীর্ঘদিনের সমস্যা মাত্র দু’মাসের মধ্যে সুরাহা হল।