স্বপ্নীল মজুমদার: হাতির(Elephant) হামলায় মৃত্যু-মিছিল অব্যাহত। মঙ্গলবার সকালে ঝাড়গ্রাম(Jhargram) থানার নেদাবহড়া অঞ্চলের আঁধারিশোল গ্রামে হাতির হানায় প্রাণ হারালেন এক দিনমজুর। তাঁর নাম খগেন পাতর (৪৬)। আঁধারিশোল গ্রামের বাসিন্দা খগেন এদিন ভোরে তাঁর জমিতে গিয়েছিলেন। সেই সময়েই হাতির হানায় তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, খগেন পাতর মঙ্গলবার ভোরে জমিতে গিয়েছিলেন। সেই সময় আচমকা জঙ্গলের দিক থেকে আসা একটি হাতি তাঁকে তাড়া করে। হঠাৎই হাতি চলে আসায় পালানোর সুযোগ পাননি খগেন। হাতিটি খগেনকে জমিতে ফেলে পিষে মারে। খবর পেয়ে ছুটে যান খগেনের স্ত্রী কাজল পাতর। কাজল বলেন, “দেখি জমিতে উনি পড়ে কাতরাচ্ছেন। হাতিটি চলে যাওয়ার পর যখন স্বামীর কাছে পৌঁছই, তখন সবশেষ।” ফের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা পাঁচ ঘণ্টা দেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পুলিশ ও বনকর্মীরা দেহ উদ্ধারে গিয়ে ব্যর্থ হন। শেষে বন দফতরের তরফে হাতির সমস্যা মেটাতে ও ক্ষতিপূরণ, মৃতের পরিজনের চাকরির ব্যবস্থার লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য তুলতে দেওয়া হয়।
ডিএফও(Jhargram) উমর ইমাম জানিয়েছেন, মৃতের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। হাতির দলকে তাড়াতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে বন দফতরের তরফে। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার জ্বলন্ত হুলার শলাকা বিদ্ধ করে একটি সন্তানসম্ভবা হাতিকে খুনের অভিযোগে এদিনই দুই অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় রাজ্য জুড়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল।