Jhargram Durga Puja 2024: বাংলায় মাতৃরূপে দেবীর আরাধনার সূচনাটা হয়েছিল মূলতঃ ত্রয়োদশ বা চতুর্দশ শতাব্দীতে। তারপর ইংরেজ আমলে তা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। যদিও সেই সময়ে প্রধানতঃ জমিদার বা ধনী ব্যবসায়ীদের পারিবারিক উৎসব ছিল দুর্গাপুজো। সাধারণ মানুষজনও তাতে অংশগ্রহণ করতেন। পরে ধীরে ধীরে এই পুজো আপামর বাঙালির আবেগের উৎসব হয়ে ওঠে। নাটমন্দিরের চৌকাঠ পার হয়ে গ্রামেগঞ্জে সর্বজনীন উৎসব হয়ে ওঠে দুর্গোৎসব। আজ তা দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে ইউনেস্কো হেরিটেজ। কলকাতা বা শহরে রয়েছে বিখ্যাত বিভিন্ন পুজো। কিন্তু আমাদের রাজ্যের গ্রামেগঞ্জেও এমন অনেক পুজো ছড়িয়ে আছে যার প্রস্তুতি ও অপেক্ষায় বছর কাটে আবেগপ্রবণ বাঙালির। ঝাড়গ্রাম অফিসার্স ক্লাব সর্বজনীন দুর্গোৎসব তেমনই এক উদাহরণ।
ঝাড়গ্রাম শহর মেনরোডে রানি বিনোদ মঞ্জুরি গার্লস হাই স্কুলের পাশে ঝাড়গ্রাম অফিসার্স ক্লাব সর্বজনীন দুর্গোৎসবের মণ্ডপের কাজ চলছে। এই বছর পুজোর ৭৫ তম বর্ষ। থিম রাজস্থানের আদলে রাজমহল। সাবেকিয়ানা প্রতিমা। মণ্ডপের ভিতরে থাকছে রাজস্থানী শৈলীর অন্দরসজ্জা। পুজোয় বাজবে জয়ঢাক। পুজোর উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইল্যা।
শুধু পুজো নয়, দুর্গোৎসব কমিটির তরফে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হবে দুঃস্থদের জন্য। করা হবে বস্ত্রদান। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজিত হচ্ছে পুজো উপলক্ষ্যে। মহালয়ার অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন রূপঙ্কর বাগচী, ঋক বসু। বসবে বাউল গানের আসর। বসে আঁকা ও ক্যুইজের মতো প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হচ্ছে। পুজোর বাকি আর কিছুদিন। সব মিলিয়ে পুজো উদ্যোক্তাদের আয়োজন ও ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে।