মদ্যপ অবস্থায় সিজ়ার করার অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে! প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে হাসপাতালে ধুন্ধুমার

Last Updated:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

স্বপ্নীল মজুমদার~এক প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়াল ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় সিজ়ার করার অভিযোগ উঠেছে। অপ্রকৃতস্থ অবস্থায় সিজ়ার করার কারণেই ওই প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ তুলে রবিবার হাসপাতাল চত্বরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান মৃতার পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

আরও পড়ুনঃ শাশুড়ির সঙ্গে জামাইয়ের প্রেম, ঘর ছাড়লেন যুগল

মৃতার নাম সুজাতা জানা প্রধান (২৫)। তাঁর স্বামীর বাড়ি নয়াগ্রামের পাতিনা গ্রামে। শনিবার হাসপাতালের চিকিৎসক কালীপ্রসাদ মুর্মু প্রথমে নর্মাল ডেলিভারি হবে বলে জানান। পরে ইউএসজি করে সিজ়ার করার কথা বলেন। সন্ধ্যায় সিজ়ার করে সুজাতার পুত্রসন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। রাতে অস্বস্তি বোধ করেন ওই প্রসূতি। গভীর রাতে ওই চিকিৎসক সুজাতাকে ইনজেকশন দেন। এরপরই সুজাতা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন।

আরও পড়ুনঃ কুড়মি কাঁটা সাফ করেই ভোটে জিতল তৃণমূল-বিজেপি

সুজাতাকে ভেন্টিলেশনে রাখার কথা বলেন চিকিৎসক। ততক্ষণে সুজাতার শরীর নিথর হয়ে যায়। এরপরই অভিযুক্ত চিকিৎসক লুকিয়ে যান। রবিবার সকাল থেকে হাসপাতাল চত্বরে জনতার প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশ আসে। পরে চিকিৎসক স্বীকার করেন, তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। অ্যানাস্থেটিস্ট না থাকায় তিনি শনিবার নিজেই সুজাতাকে অজ্ঞান করেছিলেন। সুপার না আসা পর্যন্ত দেহ নিতে অস্বীকার করেন সুজাতার পরিবার। অবশেষে বিকেলে সুপার এসে পৌঁছন। অভিযুক্ত চিকিৎসক মদ্যপ অবস্থান ছিলেন কি-না জানার জন্য তাঁর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক প্রসূতির মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ হবু স্ত্রীর সঙ্গে গল্পের শাস্তি, দুই পক্ষের সংঘর্ষে হাসপাতালে যুবক

অভিযোগ, ওই চিকিৎসক নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে থাকাকালীন সেখানেও জনা সাতেক মহিলার সিজ়ারের পর তাদের মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গোপীবল্লভপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সুজাতার স্বামী চিন্ময় প্রধান। জেলার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন।