Jhargram Cyber Crime: সাইবার অপরাধে হাত পাকিয়ে তিন বছরে দামি গাড়ি-বাড়ি, পুলিশের জালে ধরা পড়ল অভিযুক্ত

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

স্বপ্নীল মজুমদার: সাইবার অপরাধে(Cyber Crime) যুক্ত থাকার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার(Arrested) করল বেলপাহাড়ি থানার পুলিশ(Police)। ধৃত বছর ছাব্বিশের কৈলাশপতি পালের বাড়ি বেলপাহাড়ি থানার টংভেদা গ্রামে। ধৃতের কাছ থেকে ল্যাপটপ, একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাশ বই, এটিএম কার্ড, মোবাইল ফোন, সিম কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধে যুক্ত থাকার নথি জমা পড়েছিল ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টালে। সেই সূত্রেই রবিবার রাতে তার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। গ্রেফতারও করা হয়।

ঝাড়গ্রাম সাইবার ক্রাইম(Jhargram Cyber Crime) থানা কৈলাশের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে। পুলিশের দাবি, ধৃত অপরাধের কথা স্বীকারও করেছে। ঝাড়গ্রাম জেলার ডিএসপি (সাইবার ক্রাইম) সব্যসাচী ঘোষ বলেন, “ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টালে কৈলাশের মোবাইল নম্বরের ভিত্তিতে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছিল। ওই নম্বরগুলির টাওয়ার লোকেশন নিয়ে আমরা যুবকের বাড়ি পৌঁছই। গ্রেফতার করা হয়। বেশ কিছু জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।” তিনি জানান, গত দু’বছর ধরে সাইবার প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ওই যুবক। সোমবার ধৃতকে ঝাড়গ্রামের সিজেএম আদালতে তোলা হলে তাঁর চারদিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ আন্দোলন নাকি ‘নাটক’! জুনিয়র চিকিৎসকদের তোপ দিলীপ ঘোষের


উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ বেকার যুবক কৈলাসপতি মাত্র তিন বছরের মধ্যে করে ফেলেছিল বিশাল পাকা বাড়ি। কিনেছিল একাধিক বড় গাড়িও। গ্রামের লোককে জানিয়েছিল, সে লটারি জিতেছে। কৈলাশকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, বছর তিনেক আগে তার সাইবার ক্রাইমে হাতেখড়ি। বিরাট বাড়ি, একাধিক এসইউভি দেখে অবাক হলেও কৈলাশের উল্কার মতো উত্থানের পিছনে যে সাইবার প্রতারণার অপরাধ রয়েছে, সেটা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি গ্রামের বাসিন্দারা।

কৈলাসের নেতৃত্বে চক্রটি ভিপিএন ব্যবহার করায় প্রতারণার শিকড় কখনও সিঙ্গাপুর, কখনও মালয়েশিয়া আবার কখনও দুবাই বা অন্য কোথাও দেখাতো। ফলে প্রতারকরাও ধরা পড়ত না। তিন-চারমাস আগে কেন্দ্রীয় সরকার সাইবার ক্রাইম রুখতে ‘প্রতিবিম্ব সফটওয়‍্যার পোর্টাল’ চালু করে। সাইবার প্রতারণার শিকার কেউ অভিযোগ জানালে কোন জেলা থেকে প্রতারণা করা হচ্ছে, তার কিছু নির্দিষ্ট তথ্য এই পোর্টলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলার সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ অফিসাররা জানতে পারেন। সে রকমই একটি তথ্যের ভিত্তিতে কৈলাশপতির বাড়িতে হানা দিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।